ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের

  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর: যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পৌঁছানো নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিএনএনকে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক আলোচনার মাঝেই নেওয়া হচ্ছে; যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শান্তিপূর্ণ সমাধানের নীতির সঙ্গে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।

এই ধরনের আঘাত মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিস্তৃত সংঘাতের সূচনা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইসরায়েল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এদিকেও যুক্তরাষ্ট্রেও গভীরভাবে বিভক্ত মতামত রয়েছে এ নিয়ে।
কেউ কেউ মনে করছেন, যদি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় তেমন কোনো কঠোর শর্ত না থাকে, তাহলে ইসরায়েল নিজেই সামরিক পথ বেছে নিতে পারে।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ইসরায়েল তাদের বিমানবাহিনীর গোলাবারুদ স্থানান্তর ও বড় পরিসরে মহড়া সম্পন্ন করেছে। তবে এসব তৎপরতা ইরানকে চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেও দেখা হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদিও প্রকাশ্যে বলেছেন, আলোচনায় ব্যর্থ হলে তিনি সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারেন, তবুও বর্তমানে তার প্রশাসন আলোচনার পথেই আছে। মার্চে খামেনিকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যা ইতোমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। তবে এমন একটি সম্ভাব্য ‘খারাপ চুক্তি’র আগাম বার্তা পেলে ইসরায়েল হয়তো কৌশলগতভাবে হামলার মাধ্যমে তা বানচাল করতে চাইবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদিও ইসরায়েলকে এখনই সহায়তা করার পরিকল্পনায় নেই, তবে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি হয় যা তাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য, তবে তারা একাই হামলা চালাতে প্রস্তুত। যদিও বাস্তবিকভাবে আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইরানের গহীন ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ধ্বংস করা ইসরায়েলের জন্য কঠিন।

ইতোমধ্যেই ইরান তার বিমান প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের অর্থনীতি নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত। এই অবস্থাকে ‘সুযোগের জানালা’ হিসেবে দেখছে ইসরায়েল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘আমরা ১ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতাও মেনে নিতে পারি না।’ তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন দাবি ‘বড় ভুল’ এবং তেহরান সমৃদ্ধকরণের অধিকার কখনো ছাড়বে না।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার পরবর্তী রাউন্ড ইউরোপে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষর পায়নি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছিল, ২০২৫ সালের মধ্যেই ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সেই আশঙ্কাই দিন দিন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। সূত্র: সিএনএন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

বিদেশের খবর: যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পৌঁছানো নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিএনএনকে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক আলোচনার মাঝেই নেওয়া হচ্ছে; যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শান্তিপূর্ণ সমাধানের নীতির সঙ্গে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।

এই ধরনের আঘাত মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিস্তৃত সংঘাতের সূচনা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইসরায়েল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এদিকেও যুক্তরাষ্ট্রেও গভীরভাবে বিভক্ত মতামত রয়েছে এ নিয়ে।
কেউ কেউ মনে করছেন, যদি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় তেমন কোনো কঠোর শর্ত না থাকে, তাহলে ইসরায়েল নিজেই সামরিক পথ বেছে নিতে পারে।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ইসরায়েল তাদের বিমানবাহিনীর গোলাবারুদ স্থানান্তর ও বড় পরিসরে মহড়া সম্পন্ন করেছে। তবে এসব তৎপরতা ইরানকে চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেও দেখা হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদিও প্রকাশ্যে বলেছেন, আলোচনায় ব্যর্থ হলে তিনি সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারেন, তবুও বর্তমানে তার প্রশাসন আলোচনার পথেই আছে। মার্চে খামেনিকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যা ইতোমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। তবে এমন একটি সম্ভাব্য ‘খারাপ চুক্তি’র আগাম বার্তা পেলে ইসরায়েল হয়তো কৌশলগতভাবে হামলার মাধ্যমে তা বানচাল করতে চাইবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদিও ইসরায়েলকে এখনই সহায়তা করার পরিকল্পনায় নেই, তবে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি হয় যা তাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য, তবে তারা একাই হামলা চালাতে প্রস্তুত। যদিও বাস্তবিকভাবে আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইরানের গহীন ভূগর্ভস্থ স্থাপনা ধ্বংস করা ইসরায়েলের জন্য কঠিন।

ইতোমধ্যেই ইরান তার বিমান প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের অর্থনীতি নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত। এই অবস্থাকে ‘সুযোগের জানালা’ হিসেবে দেখছে ইসরায়েল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘আমরা ১ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতাও মেনে নিতে পারি না।’ তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন দাবি ‘বড় ভুল’ এবং তেহরান সমৃদ্ধকরণের অধিকার কখনো ছাড়বে না।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার পরবর্তী রাউন্ড ইউরোপে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষর পায়নি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছিল, ২০২৫ সালের মধ্যেই ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সেই আশঙ্কাই দিন দিন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। সূত্র: সিএনএন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ