ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সিনেটে ক্রিপ্টো বিলের আলোচনায় সর্বোচ্চ দামে ফিরছে বিটকয়েন

  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিপ্টো বিল নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে। সেই খবর প্রকাশের পর বিটকয়েনের দাম পৌঁছে গেছে আগের সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি।

সোমবার (১৯ মে) বিটকয়নের মূল্য ধীরে ধীরে নিজের সর্বকালের সর্বোচ্চ দাম এক লাখ আট হাজার সাতশ ৮৬ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

কারণ, এ সপ্তাহেই মার্কিন কংগ্রেস ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বিলের খসড়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোমুদ্রা বিটকয়েনের দাম এখন প্রায় এক লাখ তিন হাজার ডলার, যার দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। বিটকয়েনের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আবার মুদ্রাস্ফীতি বা জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, দেশের বাইরে থেকে আনা অনেক পণ্যে শুল্ক নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহে মার্কিন সিনেট ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক বিলের খসড়া নিয়েও আলোচনা করতে পারে। বিলটি পাস হলে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ‘স্টেবলকয়েন’-এর জন্য নিয়মকানুন তৈরি হবে।

স্টেবলকয়েন হচ্ছে এমন এক ধরনের ক্রিপ্টোমুদ্রা যেগুলোর মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যেমন– টিথার ও ইউএসডি কয়েন। এগুলো বিটকয়নের মতো দামে ওঠানামা করে না, তাই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি স্থিতিশীল থাকে এগুলোর দাম।

বিলটি মার্কিন হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রিপ্টোমুদ্রা আইন সংক্রান্ত আলোচনায় এটি বড় এক অগ্রগতি। বিলটি কংগ্রেসে ৬০টি ভোটে পাস হতে হবে এবং অনেক ডেমোক্র্যাট সিনেটর বলেছেন, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিলটি ভালোভাবে পড়ে দেখতে চান।

এরইমধ্যে বেশ কিছু ডেমোক্র্যাটের বিরোধিতার মুখে পড়েছে বিলটি। এদের মধ্যে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনও রয়েছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, খসড়া বিলটি ‘ট্রাম্প ও তার পরিবারের দুর্নীতিপূর্ণ ক্রিপ্টো স্কিম থেকে অর্থ অর্জন বন্ধের জন্য কিছুই করছে না।’

ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে, এ পর্যবেক্ষণের মধ্যে গত রোববার (১৮ মে) বিটকয়েনের দাম এক লাখ সাত হাজার ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। তার পরের দিন এটি এক লাখ তিন হাজার ডলার দামেই স্থির হয়ে যায়। বিটকয়েনের প্রতি কোম্পানির চাহিদা বাড়ছে মনে হচ্ছে। সোনা থেকে বিটকয়েনের দিকে মনোযোগ ঘুরিয়েছেন বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ‘জেপি মরগান’-এর বিশ্লেষকরা। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এ বছরের বাকি সময়ের মধ্যে বিটকয়েনের দাম সোনার দামকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিনেটে ক্রিপ্টো বিলের আলোচনায় সর্বোচ্চ দামে ফিরছে বিটকয়েন

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিপ্টো বিল নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে। সেই খবর প্রকাশের পর বিটকয়েনের দাম পৌঁছে গেছে আগের সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি।

সোমবার (১৯ মে) বিটকয়নের মূল্য ধীরে ধীরে নিজের সর্বকালের সর্বোচ্চ দাম এক লাখ আট হাজার সাতশ ৮৬ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।

কারণ, এ সপ্তাহেই মার্কিন কংগ্রেস ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বিলের খসড়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোমুদ্রা বিটকয়েনের দাম এখন প্রায় এক লাখ তিন হাজার ডলার, যার দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। বিটকয়েনের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আবার মুদ্রাস্ফীতি বা জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, দেশের বাইরে থেকে আনা অনেক পণ্যে শুল্ক নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহে মার্কিন সিনেট ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক বিলের খসড়া নিয়েও আলোচনা করতে পারে। বিলটি পাস হলে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ‘স্টেবলকয়েন’-এর জন্য নিয়মকানুন তৈরি হবে।

স্টেবলকয়েন হচ্ছে এমন এক ধরনের ক্রিপ্টোমুদ্রা যেগুলোর মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যেমন– টিথার ও ইউএসডি কয়েন। এগুলো বিটকয়নের মতো দামে ওঠানামা করে না, তাই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি স্থিতিশীল থাকে এগুলোর দাম।

বিলটি মার্কিন হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রিপ্টোমুদ্রা আইন সংক্রান্ত আলোচনায় এটি বড় এক অগ্রগতি। বিলটি কংগ্রেসে ৬০টি ভোটে পাস হতে হবে এবং অনেক ডেমোক্র্যাট সিনেটর বলেছেন, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিলটি ভালোভাবে পড়ে দেখতে চান।

এরইমধ্যে বেশ কিছু ডেমোক্র্যাটের বিরোধিতার মুখে পড়েছে বিলটি। এদের মধ্যে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনও রয়েছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, খসড়া বিলটি ‘ট্রাম্প ও তার পরিবারের দুর্নীতিপূর্ণ ক্রিপ্টো স্কিম থেকে অর্থ অর্জন বন্ধের জন্য কিছুই করছে না।’

ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে, এ পর্যবেক্ষণের মধ্যে গত রোববার (১৮ মে) বিটকয়েনের দাম এক লাখ সাত হাজার ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। তার পরের দিন এটি এক লাখ তিন হাজার ডলার দামেই স্থির হয়ে যায়। বিটকয়েনের প্রতি কোম্পানির চাহিদা বাড়ছে মনে হচ্ছে। সোনা থেকে বিটকয়েনের দিকে মনোযোগ ঘুরিয়েছেন বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ‘জেপি মরগান’-এর বিশ্লেষকরা। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এ বছরের বাকি সময়ের মধ্যে বিটকয়েনের দাম সোনার দামকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।