ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
সেমিনারে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন কইরেন না

  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক সেমিনারে কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন কইরেন না।’

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সোমবার (৫ মে) সকালে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপির) সভাকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘কয়েকটি পত্রিকা জুলাই অভ্যুত্থান লেখে না। তারা লেখে জুলাই আন্দোলন। তারা বলেন, ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরবর্তী সরকার। এর মানে দাঁড়ায়, এখানে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়নি। একটা চক্রান্ত হয়েছিল, সেখানে হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এটা করতে পারে না।’
এসব সংবাদমাধ্যম বন্ধ করা হয়নি উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা লেখেন, জনগণ আপনাদের দেখে নিবে। শহীদ ফ্যামিলিও আপনাদের দেখে নিবে। আপনাদের সাহস হয় কীভাবে? আপনাদের চোখের সামনে ঘটেছে সবকিছু। আপনারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন কইরেন না।’

রাজনীতিকরণ সংবাদমাধ্যমের শত্রু এবং এটাই মূলত সংবাদকর্মীদের অধিকারহীনতার উৎস বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ আলম।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া ২৬৬টি মামলার বিষয়ে সরকার কাজ করছে। বিশ্লেষণ করে ৭৪টি হয়রানিমূলক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত মামলা ২৯টি। সরকার চাইলে এটা তোলা যাবে। এ ছাড়া চারটি মামলা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে। বাকিগুলো রাজনৈতিক মামলা।

সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ প্রমুখ।

এ সময় ‘ফ্যাসিবাদী শাসনে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকাশনায় পনেরো বছরে ৬১ জন সাংবাদিককে হত্যা এবং ৩ হাজার ৫৮৮ জনকে নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এতে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেমিনারে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন কইরেন না

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন কইরেন না।’

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সোমবার (৫ মে) সকালে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপির) সভাকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘কয়েকটি পত্রিকা জুলাই অভ্যুত্থান লেখে না। তারা লেখে জুলাই আন্দোলন। তারা বলেন, ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরবর্তী সরকার। এর মানে দাঁড়ায়, এখানে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়নি। একটা চক্রান্ত হয়েছিল, সেখানে হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এটা করতে পারে না।’
এসব সংবাদমাধ্যম বন্ধ করা হয়নি উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা লেখেন, জনগণ আপনাদের দেখে নিবে। শহীদ ফ্যামিলিও আপনাদের দেখে নিবে। আপনাদের সাহস হয় কীভাবে? আপনাদের চোখের সামনে ঘটেছে সবকিছু। আপনারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন কইরেন না।’

রাজনীতিকরণ সংবাদমাধ্যমের শত্রু এবং এটাই মূলত সংবাদকর্মীদের অধিকারহীনতার উৎস বলে মন্তব্য করেন মাহফুজ আলম।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া ২৬৬টি মামলার বিষয়ে সরকার কাজ করছে। বিশ্লেষণ করে ৭৪টি হয়রানিমূলক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত মামলা ২৯টি। সরকার চাইলে এটা তোলা যাবে। এ ছাড়া চারটি মামলা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে। বাকিগুলো রাজনৈতিক মামলা।

সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ প্রমুখ।

এ সময় ‘ফ্যাসিবাদী শাসনে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকাশনায় পনেরো বছরে ৬১ জন সাংবাদিককে হত্যা এবং ৩ হাজার ৫৮৮ জনকে নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এতে।