ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানালেন

মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি

  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

রোববার বিইউপি আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মানবিক করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন : আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর প্রভাব এবং ভবিষ্য ‘ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, মানবিক করিডোর নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। এটি নিয়ে কেবল প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ আমেরিকার হয়ে আরাকানে প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করছে- এমন গুজব কিছু প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যম ছড়াচ্ছে, যা কখনো কাম্য নয়।

খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের কখনোই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। যদি সেটা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ হবে প্রতিবেশী দেশগুলোর ডাম্পিং গ্রাউন্ড।

সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বক্তব্য দেন। মানবিক করিডোর দেওয়া নিয়ে এপ্রিল মাসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে আমরা এতে সম্মত। কারণ, এটা হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ (মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ) হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্ত রয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত যাচ্ছি না। সেই শর্তাবলি যদি পালিত হয়, আমরা অবশ্যই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর রাখাইনে করিডোর দেওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সামনে আসে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের পর করিডোর দেওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্যও এসেছে। উপদেষ্টার বক্তব্যের দুই দিন পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের অবস্থান হলো, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এদিকে, গত বুধবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর মুখপাত্র বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ হয়ে করিডোর করে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে গেলে জাতিসংঘকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এটি পূরণ না হলে জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ সীমিত।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানালেন

মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি

আপডেট সময় : ০৮:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মানবিক করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন : আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর প্রভাব এবং ভবিষ্য ‘ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, মানবিক করিডোর নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। এটি নিয়ে কেবল প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ আমেরিকার হয়ে আরাকানে প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করছে- এমন গুজব কিছু প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যম ছড়াচ্ছে, যা কখনো কাম্য নয়।

খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের কখনোই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। যদি সেটা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ হবে প্রতিবেশী দেশগুলোর ডাম্পিং গ্রাউন্ড।

সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বক্তব্য দেন। মানবিক করিডোর দেওয়া নিয়ে এপ্রিল মাসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে আমরা এতে সম্মত। কারণ, এটা হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ (মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ) হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্ত রয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত যাচ্ছি না। সেই শর্তাবলি যদি পালিত হয়, আমরা অবশ্যই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর রাখাইনে করিডোর দেওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সামনে আসে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের পর করিডোর দেওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্যও এসেছে। উপদেষ্টার বক্তব্যের দুই দিন পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের অবস্থান হলো, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এদিকে, গত বুধবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর মুখপাত্র বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ হয়ে করিডোর করে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে গেলে জাতিসংঘকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এটি পূরণ না হলে জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ সীমিত।