ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

সড়কের অভাবে ধুঁকছে পাহাড়ি দুই উপজেলার বাসিন্দা

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

রাঙামাটি সংবাদদাতা: স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও একটি সড়কের অপেক্ষার অবসান হয়নি রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ির বাসিন্দাদের। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাহাড়ের অশান্ত পরিবেশের কারণে এখানকার উন্নয়ন বেগবান হয়নি দীর্ঘদিন।

তবে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর এ অঞ্চল উন্নয়নের সুবিধা পেতে শুরু করে। বিদ্যুৎ, সড়ক ও সেতু নির্মাণের ফলে পাহাড়ি জনপদের চিত্র পাল্টে যায়। তবে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত দেশের বড় দুই উপজেলা বাঘাইছড়ি ও লংগদু।
ওই দুই উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ভোগান্তিতে আছে এখানকার দুই লক্ষাধিক বাসিন্দা। নানিয়ারচর উপজেলার সঙ্গে লংগদুর সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলে এর সুবিধা পাবে বাঘাইছড়িবাসী। সহজে যাতায়াত সম্ভব হবে জেলা শহরের সঙ্গে।

২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি মাত্র সড়কের অভাবে জেলা শহরের সঙ্গে যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার বাসিন্দাদের। সড়ক না থাকায় সারা বছর নৌপথে চলাচল করতে হয় পাহাড়ের এই দুই উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষকে। স্বাধীনতার কয়েক দশকেও জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে না ওঠায় আর্থসামাজিক নানা দিক থেকে পিছিয়ে দুই উপজেলাবাসী।

জানা গেছে, বর্তমানে লংগদুবাসীকে নৌপথে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সদরে পৌঁছাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বাঘাইছড়ি থেকে জেলা সদরে ১৪৪ কিলোমিটার নৌপথে আসতে ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগে। শুষ্ক মৌসুমে নৌপথও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার সড়ক। যেটি পাড়ি দিতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়।
নানিয়ারচরের বড়পুল থেকে লংগদু উপজেলার মধ্যে মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হলে দুই ঘণ্টাতেই জেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন বাঘাইছড়ি ও লংগদুর বাসিন্দারা। এছাড়া জেলা সদর থেকে পর্যটন স্পট সাজেক ভ্যালির সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বর্তমানে জেলা সদর থেকে সাজেক ভ্যালিতে খাগড়াছড়ি হয়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। সড়কটি হলে রাঙ্গামাটি থেকে মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টায় সাজেক ভ্যালিতে যেতে পারবেন পর্যটকরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য- জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে কাপ্তাই, কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। অথচ এটা করা সহজ ও সম্ভাবনাময়। সড়ক না থাকার ফলে এ দুই উপজেলাবাসীকে নৌপথে নানা ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমের সময় কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গেলে এ দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া পণ্য পরিবহনেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, নানিয়ারচর-লংগদু সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বগাছড়ি থেকে নানিয়ারচর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৮২ কিলোমিটার বিটুমিনাস সড়ক রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হলে জেলা সদরের সঙ্গে নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সম্ভব হবে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) ২০২০ সালে চেঙ্গী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণের ফলে নানিয়ারচরের সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কিন্তু বাকি সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসী নানিয়ারচরের চুনীলাল দেওয়ান সেতুর সুফল সরাসরি ভোগ করতে পারছেন না।

লংগদু সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিনয় চাকমা বলেন, লংগদুর সঙ্গে নানিয়ারচরে সড়কটি নির্মিত হলে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসী যাতায়াতের সুবিধাসহ এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজেই জেলা সদরসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন।
লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলেন, লংগদু উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে এই পথও সংকুচিত হয়ে পড়ে। তখন যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়ক হলে আমাদের সময় এবং খরচ দুটোই কমবে। পণ্য পরিবহন অনেক বেশি সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ বলেন, নানিয়ারচরের বড়পুল থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হলে লংগদু উপজেলা কৃষিপণ্য পরিবহন ও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এছাড়াও যাতায়াতে বড় ধরনের উপকার হবে এখানকার মানুষের।
এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নৌপথ ও সড়কপথ দুই ক্ষেত্রেই জেলা শহর থেকে বাঘাইছড়ির দূরত্ব অনেক। বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছয় মাস লেকে পানি থাকে না। ফলে সড়কপথে খাগড়াছড়ি হয়ে আমাদের রাঙামাটি শহরে যেতে হয়। তবে লংগদুর সঙ্গে নানিয়ারচরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলে সেই সুফল বাঘাইছড়ির বাসিন্দারাও পাবে।

কম সময়ে আমরা লংগদু ও নানিয়ারচর হয়ে জেলা শহরের সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবো।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এ সড়কটি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত এলে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সড়কের অভাবে ধুঁকছে পাহাড়ি দুই উপজেলার বাসিন্দা

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

রাঙামাটি সংবাদদাতা: স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও একটি সড়কের অপেক্ষার অবসান হয়নি রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ির বাসিন্দাদের। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাহাড়ের অশান্ত পরিবেশের কারণে এখানকার উন্নয়ন বেগবান হয়নি দীর্ঘদিন।

তবে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর এ অঞ্চল উন্নয়নের সুবিধা পেতে শুরু করে। বিদ্যুৎ, সড়ক ও সেতু নির্মাণের ফলে পাহাড়ি জনপদের চিত্র পাল্টে যায়। তবে সেই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত দেশের বড় দুই উপজেলা বাঘাইছড়ি ও লংগদু।
ওই দুই উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ভোগান্তিতে আছে এখানকার দুই লক্ষাধিক বাসিন্দা। নানিয়ারচর উপজেলার সঙ্গে লংগদুর সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলে এর সুবিধা পাবে বাঘাইছড়িবাসী। সহজে যাতায়াত সম্ভব হবে জেলা শহরের সঙ্গে।

২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি মাত্র সড়কের অভাবে জেলা শহরের সঙ্গে যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার বাসিন্দাদের। সড়ক না থাকায় সারা বছর নৌপথে চলাচল করতে হয় পাহাড়ের এই দুই উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষকে। স্বাধীনতার কয়েক দশকেও জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে না ওঠায় আর্থসামাজিক নানা দিক থেকে পিছিয়ে দুই উপজেলাবাসী।

জানা গেছে, বর্তমানে লংগদুবাসীকে নৌপথে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সদরে পৌঁছাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বাঘাইছড়ি থেকে জেলা সদরে ১৪৪ কিলোমিটার নৌপথে আসতে ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগে। শুষ্ক মৌসুমে নৌপথও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার সড়ক। যেটি পাড়ি দিতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়।
নানিয়ারচরের বড়পুল থেকে লংগদু উপজেলার মধ্যে মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হলে দুই ঘণ্টাতেই জেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন বাঘাইছড়ি ও লংগদুর বাসিন্দারা। এছাড়া জেলা সদর থেকে পর্যটন স্পট সাজেক ভ্যালির সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বর্তমানে জেলা সদর থেকে সাজেক ভ্যালিতে খাগড়াছড়ি হয়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। সড়কটি হলে রাঙ্গামাটি থেকে মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টায় সাজেক ভ্যালিতে যেতে পারবেন পর্যটকরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য- জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে কাপ্তাই, কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। অথচ এটা করা সহজ ও সম্ভাবনাময়। সড়ক না থাকার ফলে এ দুই উপজেলাবাসীকে নৌপথে নানা ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমের সময় কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গেলে এ দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া পণ্য পরিবহনেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, নানিয়ারচর-লংগদু সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বগাছড়ি থেকে নানিয়ারচর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৮২ কিলোমিটার বিটুমিনাস সড়ক রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হলে জেলা সদরের সঙ্গে নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সম্ভব হবে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) ২০২০ সালে চেঙ্গী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণের ফলে নানিয়ারচরের সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কিন্তু বাকি সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসী নানিয়ারচরের চুনীলাল দেওয়ান সেতুর সুফল সরাসরি ভোগ করতে পারছেন না।

লংগদু সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিনয় চাকমা বলেন, লংগদুর সঙ্গে নানিয়ারচরে সড়কটি নির্মিত হলে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসী যাতায়াতের সুবিধাসহ এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজেই জেলা সদরসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন।
লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলেন, লংগদু উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে এই পথও সংকুচিত হয়ে পড়ে। তখন যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়ক হলে আমাদের সময় এবং খরচ দুটোই কমবে। পণ্য পরিবহন অনেক বেশি সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ বলেন, নানিয়ারচরের বড়পুল থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হলে লংগদু উপজেলা কৃষিপণ্য পরিবহন ও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এছাড়াও যাতায়াতে বড় ধরনের উপকার হবে এখানকার মানুষের।
এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নৌপথ ও সড়কপথ দুই ক্ষেত্রেই জেলা শহর থেকে বাঘাইছড়ির দূরত্ব অনেক। বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছয় মাস লেকে পানি থাকে না। ফলে সড়কপথে খাগড়াছড়ি হয়ে আমাদের রাঙামাটি শহরে যেতে হয়। তবে লংগদুর সঙ্গে নানিয়ারচরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলে সেই সুফল বাঘাইছড়ির বাসিন্দারাও পাবে।

কম সময়ে আমরা লংগদু ও নানিয়ারচর হয়ে জেলা শহরের সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবো।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এ সড়কটি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত এলে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে।