ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

সংক্ষিপ্ত মুসলমাননামা

  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

 

সাজেদ বিশ্বাস

শত্রু যদি নির্মম হয় তাহলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি পত্র বানাতে হবে। ঘাতককে আপনি যতই সুবচনের খৈ ফুটিয়ে শোনান মূলত কোনো ফলপ্রসূ ফলাফল আসবে না।আপনাকে বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে বুদ্ধি দিয়ে দীর্ঘময়েদি পরিকল্পনা দিয়ে।

অর্থনৈতিক মুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন, ল্যাব ভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চা আর সততার সাথে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পরিশ্রম করা, জ্ঞান অন্বেষণে নিয়োজিত করা। ঝকঝকে কয়েকটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার কিছু উদাহরণ টানি। যেমন- ভারত-পাকিস্তান এর মধ্যকার ঘেউ ঘেউ দেখে দেখে আমি আপনি সবাই অভ্যস্ত পরিশেষে ওই পর্যন্ত। কারণ বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম তার জ্ঞান চর্চার ফসল আগেই যত্নে রেখে গেছেন পুরো পাকিস্তান জাতিকে নিরাপত্তা কবচ হিসেবে। উনি জিহাদ জিহাদ আর মাইক্রোফোন ফাটিয়ে ওয়াজ মাহফিল করেননি। চেতনায় যদি না থাকে জ্ঞান চর্চা আর পরিশ্রম তাহলে কীভাবে ভাববেন আপনার সন্তান, প্রজন্ম সুরক্ষা হবে।শুধু সীমাবদ্ধতা নিয়ে কতদূর এগোবেন? আপনি জ্ঞানের অন্ধকারে থেকে আধুনিক প্রযুক্তিকে রুখে দিবেন? গতানুগতিক আর পরনির্ভরশীলতা কি আপনার দেশ, জাতি, সন্তান রক্ষা পাবে?

ইরানে আমি কয়েকবার গিয়েছি আর নিজ চোখে দেখেছি তাদের উন্নয়ন আর জাতির প্রতি ভালোবাসা এবং ফলাফল আমেরিকা যতই কথার ঝাড়ি মারুক কয়েকদিন পর নমনীয়তা বিষয়টি এখানে অর্থ, শক্তির মিলন। আচ্ছা বলুন তো, পৃথিবী কবে সভ্য ছিলো? ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন কিভাবে শক্তিধর ঘাতকেরা নিরীহ নারী-শিশু হত্যা করেছে কিভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। অসভ্য ঘাতক সব যুগেই ছিলো এখনো তারা বর্তমান। নিজেদের একটা উদাহরণ দিই ঘাতকেরা কিন্তু শিশু রাসেলকে ও ছাড়েনি তার ওপর নিষ্ঠুর গুলি চালিয়েছে। তাই ঘাতক ঘাতকই।

ইসরায়েল যে নিষ্ঠুর জাতি হত্যায় লিপ্ত শিশুকেও টার্গেট করছে কারণ ঘাতকদের কাজই পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম কাজ সম্পন্ন করা আর এইভেবে আত্মতৃপ্তি নেয় যে তাদের জাতিকে রক্ষা করছে যাতে আজ যে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখবে সে ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নিবে এটাই ঘাতকদের ব্রেইনওয়াশ তত্ত্ব। সতরাং এই বর্বর ঘাতকদের রুখে দিতে আপনাকে নির্ভরশীলতা আয়েশি জীবন ছাড়তে হবে ধর্মান্ধতা পরিহার করতে হবে। আপনার সৃষ্টিকর্তা ছলচাতুরী পছন্দ করেন না। আপনি প্রতিবেশী তো দূরে থাক আপনার নিজ বোনের সম্পত্তিও দিতে চান না। দিলেও যে জমিতে ফসল ফলে না সেটি দেবেন। এই হলো আপনাদের আমলনামা। আশায় থাকবেন ইমাম মাহাদি (আঃ) আসবেন আর আপনাদের উদ্ধার করবেন।

আপনার আল্লাহর পরীক্ষায় আগে পাশ করেন তাহলে দেখবেন ওনার রহমত অবশ্যই পাবেন।উনি ওনার দূত পাঠাবেন নিশ্চয়ই যখন আপনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবেন। আপনি কি দেখেন না আপনার সৌদি তেল বেচে আর বসে বসে আয়েসি জীবন যাপন করে আপনি কি দেখেন না কুয়েত স্বর্ণ বেচে আর জাতিকে আয়েসি জীবন উপহার দেয় তাহলে ইহার নাম কি ইসলাম?

ইসলাম কি পরিশ্রম করতে শেখায়নি, ইসলাম কি জ্ঞান অর্জন করতে বলেনি? তাহলে কীভাবে আপনার সন্তানের নিরাপত্তা দেবেন দিনের পর দিন পরনির্ভরশীল হয়ে।

লেখক: কবি ও নৌ প্রকৌশলী

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংক্ষিপ্ত মুসলমাননামা

আপডেট সময় : ০৩:৩১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

সাজেদ বিশ্বাস

শত্রু যদি নির্মম হয় তাহলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি পত্র বানাতে হবে। ঘাতককে আপনি যতই সুবচনের খৈ ফুটিয়ে শোনান মূলত কোনো ফলপ্রসূ ফলাফল আসবে না।আপনাকে বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে বুদ্ধি দিয়ে দীর্ঘময়েদি পরিকল্পনা দিয়ে।

অর্থনৈতিক মুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন, ল্যাব ভিত্তিক বিজ্ঞান চর্চা আর সততার সাথে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পরিশ্রম করা, জ্ঞান অন্বেষণে নিয়োজিত করা। ঝকঝকে কয়েকটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার কিছু উদাহরণ টানি। যেমন- ভারত-পাকিস্তান এর মধ্যকার ঘেউ ঘেউ দেখে দেখে আমি আপনি সবাই অভ্যস্ত পরিশেষে ওই পর্যন্ত। কারণ বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম তার জ্ঞান চর্চার ফসল আগেই যত্নে রেখে গেছেন পুরো পাকিস্তান জাতিকে নিরাপত্তা কবচ হিসেবে। উনি জিহাদ জিহাদ আর মাইক্রোফোন ফাটিয়ে ওয়াজ মাহফিল করেননি। চেতনায় যদি না থাকে জ্ঞান চর্চা আর পরিশ্রম তাহলে কীভাবে ভাববেন আপনার সন্তান, প্রজন্ম সুরক্ষা হবে।শুধু সীমাবদ্ধতা নিয়ে কতদূর এগোবেন? আপনি জ্ঞানের অন্ধকারে থেকে আধুনিক প্রযুক্তিকে রুখে দিবেন? গতানুগতিক আর পরনির্ভরশীলতা কি আপনার দেশ, জাতি, সন্তান রক্ষা পাবে?

ইরানে আমি কয়েকবার গিয়েছি আর নিজ চোখে দেখেছি তাদের উন্নয়ন আর জাতির প্রতি ভালোবাসা এবং ফলাফল আমেরিকা যতই কথার ঝাড়ি মারুক কয়েকদিন পর নমনীয়তা বিষয়টি এখানে অর্থ, শক্তির মিলন। আচ্ছা বলুন তো, পৃথিবী কবে সভ্য ছিলো? ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন কিভাবে শক্তিধর ঘাতকেরা নিরীহ নারী-শিশু হত্যা করেছে কিভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। অসভ্য ঘাতক সব যুগেই ছিলো এখনো তারা বর্তমান। নিজেদের একটা উদাহরণ দিই ঘাতকেরা কিন্তু শিশু রাসেলকে ও ছাড়েনি তার ওপর নিষ্ঠুর গুলি চালিয়েছে। তাই ঘাতক ঘাতকই।

ইসরায়েল যে নিষ্ঠুর জাতি হত্যায় লিপ্ত শিশুকেও টার্গেট করছে কারণ ঘাতকদের কাজই পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম কাজ সম্পন্ন করা আর এইভেবে আত্মতৃপ্তি নেয় যে তাদের জাতিকে রক্ষা করছে যাতে আজ যে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখবে সে ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নিবে এটাই ঘাতকদের ব্রেইনওয়াশ তত্ত্ব। সতরাং এই বর্বর ঘাতকদের রুখে দিতে আপনাকে নির্ভরশীলতা আয়েশি জীবন ছাড়তে হবে ধর্মান্ধতা পরিহার করতে হবে। আপনার সৃষ্টিকর্তা ছলচাতুরী পছন্দ করেন না। আপনি প্রতিবেশী তো দূরে থাক আপনার নিজ বোনের সম্পত্তিও দিতে চান না। দিলেও যে জমিতে ফসল ফলে না সেটি দেবেন। এই হলো আপনাদের আমলনামা। আশায় থাকবেন ইমাম মাহাদি (আঃ) আসবেন আর আপনাদের উদ্ধার করবেন।

আপনার আল্লাহর পরীক্ষায় আগে পাশ করেন তাহলে দেখবেন ওনার রহমত অবশ্যই পাবেন।উনি ওনার দূত পাঠাবেন নিশ্চয়ই যখন আপনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবেন। আপনি কি দেখেন না আপনার সৌদি তেল বেচে আর বসে বসে আয়েসি জীবন যাপন করে আপনি কি দেখেন না কুয়েত স্বর্ণ বেচে আর জাতিকে আয়েসি জীবন উপহার দেয় তাহলে ইহার নাম কি ইসলাম?

ইসলাম কি পরিশ্রম করতে শেখায়নি, ইসলাম কি জ্ঞান অর্জন করতে বলেনি? তাহলে কীভাবে আপনার সন্তানের নিরাপত্তা দেবেন দিনের পর দিন পরনির্ভরশীল হয়ে।

লেখক: কবি ও নৌ প্রকৌশলী