ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে সৌদি

  • আপডেট সময় : ০৮:০০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সৌদি আরব সফরের আগে শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। পেন্টাগন বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপাল্লার ১ হাজার ‘এআইএম ১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য কোনো আকাশযান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া যায়। ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি এরইমধ্যে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে পেন্টাগন।

এদিকে আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ বলেছে, সৌদি আরব সফরে দেশটির নেতাদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিভিন্ন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য তার আগেই ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির খবরটি সামনে এল। সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে সৌদি সফরকালে রিয়াদের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেন। তবে ২০১৮ সাল নাগাদ মাত্র সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকা-ের প্রেক্ষিতে চুক্তিগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে মার্কিন কংগ্রেস। খাসোগি হত্যাকা-ের জেরে ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের কাছে মারণাস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সৌদি আরবকে ইয়েমেন যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনতে বাধ্য করা। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ওই যুদ্ধে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। মার্কিন আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রির বড় চুক্তিগুলো কংগ্রেসের সদস্যদের যাচাই-বাছাই ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে পর বৈশ্বিক তেল সরবরাহ বিঘিœত হয়। ফলে সৌদি আরবের প্রতি নমনীয় অবস্থানে যেতে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে সৌদি

আপডেট সময় : ০৮:০০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সৌদি আরব সফরের আগে শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। পেন্টাগন বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপাল্লার ১ হাজার ‘এআইএম ১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য কোনো আকাশযান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া যায়। ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি এরইমধ্যে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে পেন্টাগন।

এদিকে আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ বলেছে, সৌদি আরব সফরে দেশটির নেতাদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিভিন্ন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য তার আগেই ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির খবরটি সামনে এল। সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে সৌদি সফরকালে রিয়াদের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেন। তবে ২০১৮ সাল নাগাদ মাত্র সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকা-ের প্রেক্ষিতে চুক্তিগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে মার্কিন কংগ্রেস। খাসোগি হত্যাকা-ের জেরে ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের কাছে মারণাস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সৌদি আরবকে ইয়েমেন যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনতে বাধ্য করা। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ওই যুদ্ধে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। মার্কিন আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রির বড় চুক্তিগুলো কংগ্রেসের সদস্যদের যাচাই-বাছাই ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে পর বৈশ্বিক তেল সরবরাহ বিঘিœত হয়। ফলে সৌদি আরবের প্রতি নমনীয় অবস্থানে যেতে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।