ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

ইংলিশ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ‘রূপান্তরিত নারী’

  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: লিঙ্গ রূপান্তর ঘটিয়ে নারীতে পরিণত হওয়া ক্রিকেটারদের ইংলিশ ক্রিকেটে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে, যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে রূপান্তরিত নারীদের খেলার অনুমতি দেয়া হবে না। ইসিবি তাদের নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের সম্পর্কে নিজেদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো। যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সমতাসূচক আইনে নারীর সংজ্ঞা সম্পর্কে যে রায় দেয়া হয়েছে, সে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের ক্ষেত্রে ফুটবল এবং নেটবলেও একই ধরণের পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার নারীদের ক্ষেত্রে ইসিবির এ পদক্ষেপ নতুন নয়। আইসিসির অবস্থানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে প্রথমে তারা অভিজাত শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছিলো। এবার সুপ্রিম কোর্ট নারী যে সংজ্ঞা নিরূপণ করেছে, তাতে ক্রিকেটের সব পর্যায় থেকে রূপান্তরিতদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে দিলো। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে যে, কেবলমাত্র যারা জন্মগতভাবে নারী, তারাই মহিলা এবং মেয়েদের ক্রিকেট ম্যাচে খেলার যোগ্য হবেন। ট্রান্সজেন্ডার নারী এবং মেয়েরা শুধুমাত্র উন্মুক্ত ও মিশ্র ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।’ ইসিবির নেয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে কতজন ব্যাক্তির ওপর প্রভাব পড়বে সে ধরনের কোনো ডাটা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি।

তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, ট্রান্সজেন্ডার নারী সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে যারা বিনোদনমূলক খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখিন হবে, তাদেরকে সযোগিতা করবে ইসিবি। ইসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিনোদনমূলক ক্রিকেটের জন্য আমাদের নিয়মকানুন সর্বদা চেষ্টা করেছে, ক্রিকেটকে যতটা সম্ভব অন্তর্ভুক্তিমূলক খেলা হিসেবে রেখে দিতে। এর মূল কারণ হলো, লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ এবং সকল খেলোয়াড়ের আনন্দ রক্ষার ব্যবস্থা করা। তবে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে যে নতুন পরামর্শ সামনে এসেছে, তাতে আমরা বিশ্বাস করি যে ঘোষিত পরিবর্তনগুলি অবশ্যই প্রয়োজনী।’ ইসিবি আরও বলছে, ‘আমরা স্বীকার করি যে, এ সিদ্ধান্ত ট্রান্সজেন্ডার নারী ও মেয়েদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। আমাদের নিয়মকানুন পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য আমরা বিনোদনমূলক ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কাজ করব।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইংলিশ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ‘রূপান্তরিত নারী’

আপডেট সময় : ০৭:২৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: লিঙ্গ রূপান্তর ঘটিয়ে নারীতে পরিণত হওয়া ক্রিকেটারদের ইংলিশ ক্রিকেটে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে, যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে রূপান্তরিত নারীদের খেলার অনুমতি দেয়া হবে না। ইসিবি তাদের নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের সম্পর্কে নিজেদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো। যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সমতাসূচক আইনে নারীর সংজ্ঞা সম্পর্কে যে রায় দেয়া হয়েছে, সে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের ক্ষেত্রে ফুটবল এবং নেটবলেও একই ধরণের পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার নারীদের ক্ষেত্রে ইসিবির এ পদক্ষেপ নতুন নয়। আইসিসির অবস্থানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে প্রথমে তারা অভিজাত শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছিলো। এবার সুপ্রিম কোর্ট নারী যে সংজ্ঞা নিরূপণ করেছে, তাতে ক্রিকেটের সব পর্যায় থেকে রূপান্তরিতদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে দিলো। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে যে, কেবলমাত্র যারা জন্মগতভাবে নারী, তারাই মহিলা এবং মেয়েদের ক্রিকেট ম্যাচে খেলার যোগ্য হবেন। ট্রান্সজেন্ডার নারী এবং মেয়েরা শুধুমাত্র উন্মুক্ত ও মিশ্র ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।’ ইসিবির নেয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে কতজন ব্যাক্তির ওপর প্রভাব পড়বে সে ধরনের কোনো ডাটা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি।

তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, ট্রান্সজেন্ডার নারী সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে যারা বিনোদনমূলক খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখিন হবে, তাদেরকে সযোগিতা করবে ইসিবি। ইসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিনোদনমূলক ক্রিকেটের জন্য আমাদের নিয়মকানুন সর্বদা চেষ্টা করেছে, ক্রিকেটকে যতটা সম্ভব অন্তর্ভুক্তিমূলক খেলা হিসেবে রেখে দিতে। এর মূল কারণ হলো, লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ এবং সকল খেলোয়াড়ের আনন্দ রক্ষার ব্যবস্থা করা। তবে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে যে নতুন পরামর্শ সামনে এসেছে, তাতে আমরা বিশ্বাস করি যে ঘোষিত পরিবর্তনগুলি অবশ্যই প্রয়োজনী।’ ইসিবি আরও বলছে, ‘আমরা স্বীকার করি যে, এ সিদ্ধান্ত ট্রান্সজেন্ডার নারী ও মেয়েদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। আমাদের নিয়মকানুন পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য আমরা বিনোদনমূলক ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কাজ করব।’