ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে মিলবে পুরস্কার

  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাট সংবাদদাতা :পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকার রোধে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। হরিণ ধরার কাজে ব্যবহৃত নাইলনের জালের ফাঁদ জমা দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার। প্রতি কেজি জালের জন্য দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা। সম্প্রতি পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকারের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী ৩০ এপ্রিল দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এ ঘোষণা দেন।

বনবিভাগ সূত্র জানায়, হরিণ শিকারিরা সাধারণত নাইলনের দড়ি দিয়ে বিশেষ ধরনের ফাঁদ তৈরি করে, যা গহিন বনে পেতে রাখা হয়। হরিণ দৌড়ে যাওয়ার সময় এসব ফাঁদে আটকে পড়ে। এই ফাঁদগুলো উদ্ধার করতে জেলে ও মৌয়ালদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, জেলে ও মৌয়ালদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ফাঁদ দেখলে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে তা উদ্ধার করতে হবে। ডিএফও রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের তৎপরতা বাড়ছে। শিকারিরা ফাঁদ পেতে হরিণ ধরে। গহিন বনে চলাফেরা করার কারণে মৌয়ালদের চোখে এসব ফাঁদ সহজেই পড়তে পারে। তাই ফাঁদ উদ্ধার কার্যক্রমে তাদের উৎসাহিত করতে ফাঁদের জালের কেজিপ্রতি দুই হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে হরিণ শিকার প্রতিরোধে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে মিলবে পুরস্কার

আপডেট সময় : ০৭:০৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বাগেরহাট সংবাদদাতা :পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকার রোধে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। হরিণ ধরার কাজে ব্যবহৃত নাইলনের জালের ফাঁদ জমা দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার। প্রতি কেজি জালের জন্য দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা। সম্প্রতি পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকারের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী ৩০ এপ্রিল দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এ ঘোষণা দেন।

বনবিভাগ সূত্র জানায়, হরিণ শিকারিরা সাধারণত নাইলনের দড়ি দিয়ে বিশেষ ধরনের ফাঁদ তৈরি করে, যা গহিন বনে পেতে রাখা হয়। হরিণ দৌড়ে যাওয়ার সময় এসব ফাঁদে আটকে পড়ে। এই ফাঁদগুলো উদ্ধার করতে জেলে ও মৌয়ালদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, জেলে ও মৌয়ালদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ফাঁদ দেখলে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে তা উদ্ধার করতে হবে। ডিএফও রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের তৎপরতা বাড়ছে। শিকারিরা ফাঁদ পেতে হরিণ ধরে। গহিন বনে চলাফেরা করার কারণে মৌয়ালদের চোখে এসব ফাঁদ সহজেই পড়তে পারে। তাই ফাঁদ উদ্ধার কার্যক্রমে তাদের উৎসাহিত করতে ফাঁদের জালের কেজিপ্রতি দুই হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে হরিণ শিকার প্রতিরোধে ভালো ফল পাওয়া যাবে।