ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

শ্রীলঙ্কা সফরে দুই প্রত্যাশা শান্তর

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: সিরিজ শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ১-১ ড্র করে তিনি খুব একটা খুশি নন। বাংলাদেশের পরের টেস্ট সিরিজে অপেক্ষায় আরো কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই সিরিজে অধিনায়ক সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন তো? প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে আছে তার দুটি চাওয়ায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যেখানে তিনি দেখতে চান উন্নতি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরেই সিরিজ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির আশা শেষ হয়ে যায়। পরের লড়াই ছিল স্রেফ মান বাঁচানোর। চট্টগ্রামে ইনিংস ব্যবধানে জিতে সেই সামান্য স্বস্তিটুকু পেয়েছে দল। যদিও অধিনায়ক শান্ত পরে বলেছেন, সিরিজে সামগ্রিক ফলাফলে তিনি অখুশি।

আগামী মাসে বাংলাদেশ যাবে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে আছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও। এই সিরিজ দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করবে দুই দলই।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে সিরিজগুলোয় বেশি আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ, সেটির মধ্যে নিশ্চিতভাবেই থাকবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই। সেখানে জিততে হলে কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরই তা জানিয়ে রাখলেন অধিনায়ক- ‘শ্রীলঙ্কা সফর আছে সামনে, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। আমি চাইব টপ অর্ডারে যেন আরো বড় রান হয়, কেউ যেন ৪০ রান করে, ১০০ রান করেও আউট না হয়ে যায়। দুই টেস্টে যেন লম্বা ইনিংস আসে। লম্বা মানে অনেক লম্বা। যেটা সম্ভব, শ্রীলঙ্কায় ভালো উইকেট থাকে। কিংবা যে কন্ডিশনই থাকুক, টপ অর্ডার যেন ভালো করে।’ পাশাপাশি চাইব আমাদের পেস বোলাররা যেন ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে।

ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারদের অবদানের গুরুত্বও তুলে ধরলেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টে কিছুটা অনিশ্চিত অবস্থান থেকে দলকে দাপুটে অবস্থানে নিয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লোয়ার অর্ডারদের কার্যকর ব্যাটিং। অষ্টম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে তাইজুল ইসলামের জুটিতে আসে ৬৩ রান, নবম উইকেটে অভিষিক্ত তানজিম হাসানকে নিয়ে মিরাজ যোগ করেন আরো ৯৬ রান। শেষ তিন জুটি থেকে সব মিলিয়ে রান আসে ১৬৫।

পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার যে ছক ধরে এগোচ্ছে বাংলাদেশ, সেখানে লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শান্ত। ‘খুবই জরুরি। আগে দেখবেন টেস্টে ঘরের মাঠে চার বোলার নিয়ে খেলতাম। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য জেনুইন পাঁচজন বোলার লাগবেই। যেটা আমরা এখন করছি। করার কারণ হলো, হাসান (মাহমুদ), তাইজুল (ইসলাম) ভাই, সাকিব (তানজিম হাসান), (নাহিদ) রানা বা খালেদ আহমেদ, তাসকিন (আহমেদ) ভাই, সবাই চেষ্টা করে ব্যাটিংটা কীভাবে উন্নত করা যায়। এই ১০টি রান করা বা ৫০ বল খেলা খুব জরুরি।’

‘লোয়ার মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে যারা ব্যাট করে তারা অনেক কাজ করছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে জাকের আলি যে ৯৭ করল, তার সাথে কিন্তু টেইল এন্ডারই ছিল। এই জায়গায় সবাই অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমি মনে করি খুবই জরুরি। এই জায়গায় যারা ব্যাট করে তাদের মধ্যে আরো সামথ্যূ আছে আরো ভালো করার।’

শ্রীলঙ্কা সফরে শান্ত অধিনায়ক থাকবেন কি না, সেই নিশ্চয়তা অবশ্য নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন তিনি বলেছিলেন, আপাতত এই সিরিজের জন্যই তাকে অধিনায়ক রেখেছে বোর্ড।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীলঙ্কা সফরে দুই প্রত্যাশা শান্তর

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: সিরিজ শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ১-১ ড্র করে তিনি খুব একটা খুশি নন। বাংলাদেশের পরের টেস্ট সিরিজে অপেক্ষায় আরো কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই সিরিজে অধিনায়ক সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন তো? প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে আছে তার দুটি চাওয়ায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যেখানে তিনি দেখতে চান উন্নতি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরেই সিরিজ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির আশা শেষ হয়ে যায়। পরের লড়াই ছিল স্রেফ মান বাঁচানোর। চট্টগ্রামে ইনিংস ব্যবধানে জিতে সেই সামান্য স্বস্তিটুকু পেয়েছে দল। যদিও অধিনায়ক শান্ত পরে বলেছেন, সিরিজে সামগ্রিক ফলাফলে তিনি অখুশি।

আগামী মাসে বাংলাদেশ যাবে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে আছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও। এই সিরিজ দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করবে দুই দলই।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে সিরিজগুলোয় বেশি আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ, সেটির মধ্যে নিশ্চিতভাবেই থাকবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই। সেখানে জিততে হলে কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরই তা জানিয়ে রাখলেন অধিনায়ক- ‘শ্রীলঙ্কা সফর আছে সামনে, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। আমি চাইব টপ অর্ডারে যেন আরো বড় রান হয়, কেউ যেন ৪০ রান করে, ১০০ রান করেও আউট না হয়ে যায়। দুই টেস্টে যেন লম্বা ইনিংস আসে। লম্বা মানে অনেক লম্বা। যেটা সম্ভব, শ্রীলঙ্কায় ভালো উইকেট থাকে। কিংবা যে কন্ডিশনই থাকুক, টপ অর্ডার যেন ভালো করে।’ পাশাপাশি চাইব আমাদের পেস বোলাররা যেন ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে।

ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারদের অবদানের গুরুত্বও তুলে ধরলেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টে কিছুটা অনিশ্চিত অবস্থান থেকে দলকে দাপুটে অবস্থানে নিয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লোয়ার অর্ডারদের কার্যকর ব্যাটিং। অষ্টম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে তাইজুল ইসলামের জুটিতে আসে ৬৩ রান, নবম উইকেটে অভিষিক্ত তানজিম হাসানকে নিয়ে মিরাজ যোগ করেন আরো ৯৬ রান। শেষ তিন জুটি থেকে সব মিলিয়ে রান আসে ১৬৫।

পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার যে ছক ধরে এগোচ্ছে বাংলাদেশ, সেখানে লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শান্ত। ‘খুবই জরুরি। আগে দেখবেন টেস্টে ঘরের মাঠে চার বোলার নিয়ে খেলতাম। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য জেনুইন পাঁচজন বোলার লাগবেই। যেটা আমরা এখন করছি। করার কারণ হলো, হাসান (মাহমুদ), তাইজুল (ইসলাম) ভাই, সাকিব (তানজিম হাসান), (নাহিদ) রানা বা খালেদ আহমেদ, তাসকিন (আহমেদ) ভাই, সবাই চেষ্টা করে ব্যাটিংটা কীভাবে উন্নত করা যায়। এই ১০টি রান করা বা ৫০ বল খেলা খুব জরুরি।’

‘লোয়ার মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে যারা ব্যাট করে তারা অনেক কাজ করছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে জাকের আলি যে ৯৭ করল, তার সাথে কিন্তু টেইল এন্ডারই ছিল। এই জায়গায় সবাই অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমি মনে করি খুবই জরুরি। এই জায়গায় যারা ব্যাট করে তাদের মধ্যে আরো সামথ্যূ আছে আরো ভালো করার।’

শ্রীলঙ্কা সফরে শান্ত অধিনায়ক থাকবেন কি না, সেই নিশ্চয়তা অবশ্য নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন তিনি বলেছিলেন, আপাতত এই সিরিজের জন্যই তাকে অধিনায়ক রেখেছে বোর্ড।