ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

আপিল মঞ্জুর, আমানের ১৩ বছরের দণ্ড বাতিল

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। রায়ে আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রীর তিন বছরের সাজাও বাতিল করা হয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র সময় ২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম। এরপর তিনি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন।

তবে আপিল বিভাগ ৪ ডিসেম্বর তাকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে ১৪ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়। এ অবস্থায় ফের তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে গত বছরের ২০ মার্চ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে ফের শুনানির পর সস্ত্রীক আমানের দণ্ড বহাল রাখা হয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আপিল মঞ্জুর, আমানের ১৩ বছরের দণ্ড বাতিল

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। রায়ে আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রীর তিন বছরের সাজাও বাতিল করা হয়েছে। এর আগে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র সময় ২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম। এরপর তিনি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন।

তবে আপিল বিভাগ ৪ ডিসেম্বর তাকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে ১৪ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়। এ অবস্থায় ফের তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে গত বছরের ২০ মার্চ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে ফের শুনানির পর সস্ত্রীক আমানের দণ্ড বহাল রাখা হয়।