ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

সিকদার গ্রুপের ২০৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার, তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার, তাদের সন্তান, নাতি-নাতনী ও সিকদার গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৮৯টি দেশি ও ১৪টি বিদেশি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। অবরুদ্ধ হওয়া দেশি অ্যাকাউন্টগুলোর অন্য মালিকরা হলেন, জয়নুল হকের ছেলে রন হক সিকদার, মমতাজুল হক, নাতি মোহতাসিম বিল্লাহ খান, নাসিম সিকদার, শন হক সিকদার, নাতনি মেন্ডি খান সিকদার, লিসা ফাতেমা হক, পারভীন হক সিকদার, মনিকা সিকদার খান, জেফরি খান সিকদার, নাতিন জামাই সালাহউদ্দিন খান ও সিকদার গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

এসব হিসাবে ১ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৬ টাকা রয়েছে।
বিদেশি একাউন্টগুলো মধ্য ১২টি ন্যাশনাল ব্যাংকে আর দু’টি কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন। এসব হিসাবের মালিক, জয়নুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার, ছেলে দীপু হক, জন হক সিকদার, নাতি- নাসিম সিকদার, শন হক সিকদার নাতনী জেফরি খান সিকদার, জোনাস খান সিকদার, লিসা ফাতেমা হক, মনিকা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, নাতিন জামাই সালাউদ্দিন খান। এসব হিসাবে ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৯২৭ ডলার রয়েছে। দুদকে আবেদনে বলা হয়েছে, সিকদার গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। সিকদার গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র বিক্রয় বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে বর্তমানে সিকদার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে তারা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অস্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রি বা স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। এ জন্য এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে আদালত কর্তৃক অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিকদার গ্রুপের ২০৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার, তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার, তাদের সন্তান, নাতি-নাতনী ও সিকদার গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৮৯টি দেশি ও ১৪টি বিদেশি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। অবরুদ্ধ হওয়া দেশি অ্যাকাউন্টগুলোর অন্য মালিকরা হলেন, জয়নুল হকের ছেলে রন হক সিকদার, মমতাজুল হক, নাতি মোহতাসিম বিল্লাহ খান, নাসিম সিকদার, শন হক সিকদার, নাতনি মেন্ডি খান সিকদার, লিসা ফাতেমা হক, পারভীন হক সিকদার, মনিকা সিকদার খান, জেফরি খান সিকদার, নাতিন জামাই সালাহউদ্দিন খান ও সিকদার গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

এসব হিসাবে ১ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৬ টাকা রয়েছে।
বিদেশি একাউন্টগুলো মধ্য ১২টি ন্যাশনাল ব্যাংকে আর দু’টি কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন। এসব হিসাবের মালিক, জয়নুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার, ছেলে দীপু হক, জন হক সিকদার, নাতি- নাসিম সিকদার, শন হক সিকদার নাতনী জেফরি খান সিকদার, জোনাস খান সিকদার, লিসা ফাতেমা হক, মনিকা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, নাতিন জামাই সালাউদ্দিন খান। এসব হিসাবে ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৯২৭ ডলার রয়েছে। দুদকে আবেদনে বলা হয়েছে, সিকদার গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। সিকদার গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র বিক্রয় বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে বর্তমানে সিকদার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে তারা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অস্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রি বা স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। এ জন্য এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে আদালত কর্তৃক অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।