ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

কাজ নাকি কাজের ‘রেজাল্ট’কে প্রাধান্য দেবেন?

  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: একটি দিন সবার জন্যই ২৪ ঘণ্টা সময় প্রদান করে। একথা সত্য যে বেশিরভাগ মানুষের সময়ের সমস্যা নেই। তাদের সমস্যা সময়কে প্রায়োরিটি বা প্রাধান্য দেওয়াতে। একটি পার্থক্য মানুষের জীবনে অনেক বড় ব্যবধান তৈরি করে দেয়। জীবন আপনাকে একটি দর্শন দেয়। এখানে প্রধান এবং অপ্রধান অনেক কিছু আছে। সারাদিন ব্যস্ত থাকা সহজ। কিছু মানুষ একের পর এক কাজ করে যান। আর যারা সফল হতে চান, তারা শুধু কাজকে প্রাধান্য দেন না, কাজের ফলাফলকে বেশি প্রাধান্য দেন। সফল হতে চাওয়া মানুষেরা শুধু সময়কে প্রাধান্য দেন না, সময় কীভাবে কাজে লাগাবেন তার ওপর গুরুত্ব দেন। ‘‘আমেরিকান উদ্যোক্তা, লেখক এবং মোটিভেশনাল স্পিকার জিম রবিন বলেন, বিলিয়নিয়ার, লেখক, নেতা কিংবা যেকোনো স্বপ্নবাজ মানুষ প্রত্যেকেই একটি দিনে ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়ে থাকেন। কোনো মানুষ এক দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পান না। পার্থক্য তৈরি হয়, কে কীভাবে এই সময় ব্যবহার করছে তার ওপর।’’

সাফল্য নির্মাণ করতে হয় সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দিনে দিনে একটু একটু করে এগোতে হয়। জিম রবিনের ভাষায়, ‘‘সাফল্য এমন নয় যে আপনি একবার হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন আর উঠে দাঁড়ালেন। সাফল্য নির্মাণ করতে হয় প্রত্যেক ঘণ্টায়। প্রত্যেক সিদ্ধান্তে। এখানে আমার একটি প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি আপনার ২৪ ঘণ্টাকে কীভাবে কাজে লাগান? ’’ বেশির ভাগ মানুষ সকালে জেগে ওঠেন। তারপর তাদের ফোন চেক করেন। চারপাশের ঘটনা জেনে বুঝে তারা তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। এই প্রভাব পরে তাদের মনে ও কাজে। আশাবাদী মানুষ রাতে ঘুমানোর আগে পরের দিন কি করবেন, কীভাবে করবেন সেই পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন। এজন্য ১০ মিনিট সময় নিয়ে থাকেন তারা। তারপর সারাদিনের কাজগুলো গুরুত্বেরভিত্তিতে সম্পাদন করার পরিকল্পনা করেন।

জিম রবিন বলেন, ‘‘যারা দিনের শুরুটা দেরিতে করেন, তারা শুরুতেই পিছিয়ে যান। সকালে আপনার দুইটি পছন্দকে প্রাধান্য দিন, কোনো অ্যালার্ম সেট করা ছাড়াই সকালে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এরপর আপনার আপনার নিজের কাজ ও সম্পর্কগুলো প্রাধান্য দিন।– সকালটা সুশৃঙ্খলভাবে শুরু করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনার মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে। ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠুন। শুধু জেগে উঠতে হবে এই জন্য নয়, আপনি একটি লক্ষ্য পূরনের উদ্দেশ্যে দিনটি শুরু করুন। সকালের শুরুটা আপনার দিন বদলে দিতে পারে। আপনি নিজের জন্য পরিকল্পনা সাজান, এবং নিজেই নিজের বস হয়ে উঠুন।’’ আপনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন আপনার দিনটি শুরু হয়।

সুতরাং ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। সারাদিনে শুধুমাত্র কাজের ওপর গুরুত্ব দেবেন না, গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজকে প্রাধান্য দিন। জিম রবিন আরও বলেন, ‘‘অনেক মানুষ সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। কিছু ব্যস্ত মানুষ জানেন না, কীভাবে দ্রুত এগোতে হয়। কারণ তারা জানেন না দিনের শুরুটা কোন কাজ দিয়ে করবেন। ‘কনফিউজ মুভমেন্ট’ তাদের এগোতে দেয় না।’’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাজ নাকি কাজের ‘রেজাল্ট’কে প্রাধান্য দেবেন?

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: একটি দিন সবার জন্যই ২৪ ঘণ্টা সময় প্রদান করে। একথা সত্য যে বেশিরভাগ মানুষের সময়ের সমস্যা নেই। তাদের সমস্যা সময়কে প্রায়োরিটি বা প্রাধান্য দেওয়াতে। একটি পার্থক্য মানুষের জীবনে অনেক বড় ব্যবধান তৈরি করে দেয়। জীবন আপনাকে একটি দর্শন দেয়। এখানে প্রধান এবং অপ্রধান অনেক কিছু আছে। সারাদিন ব্যস্ত থাকা সহজ। কিছু মানুষ একের পর এক কাজ করে যান। আর যারা সফল হতে চান, তারা শুধু কাজকে প্রাধান্য দেন না, কাজের ফলাফলকে বেশি প্রাধান্য দেন। সফল হতে চাওয়া মানুষেরা শুধু সময়কে প্রাধান্য দেন না, সময় কীভাবে কাজে লাগাবেন তার ওপর গুরুত্ব দেন। ‘‘আমেরিকান উদ্যোক্তা, লেখক এবং মোটিভেশনাল স্পিকার জিম রবিন বলেন, বিলিয়নিয়ার, লেখক, নেতা কিংবা যেকোনো স্বপ্নবাজ মানুষ প্রত্যেকেই একটি দিনে ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়ে থাকেন। কোনো মানুষ এক দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পান না। পার্থক্য তৈরি হয়, কে কীভাবে এই সময় ব্যবহার করছে তার ওপর।’’

সাফল্য নির্মাণ করতে হয় সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দিনে দিনে একটু একটু করে এগোতে হয়। জিম রবিনের ভাষায়, ‘‘সাফল্য এমন নয় যে আপনি একবার হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন আর উঠে দাঁড়ালেন। সাফল্য নির্মাণ করতে হয় প্রত্যেক ঘণ্টায়। প্রত্যেক সিদ্ধান্তে। এখানে আমার একটি প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি আপনার ২৪ ঘণ্টাকে কীভাবে কাজে লাগান? ’’ বেশির ভাগ মানুষ সকালে জেগে ওঠেন। তারপর তাদের ফোন চেক করেন। চারপাশের ঘটনা জেনে বুঝে তারা তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। এই প্রভাব পরে তাদের মনে ও কাজে। আশাবাদী মানুষ রাতে ঘুমানোর আগে পরের দিন কি করবেন, কীভাবে করবেন সেই পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন। এজন্য ১০ মিনিট সময় নিয়ে থাকেন তারা। তারপর সারাদিনের কাজগুলো গুরুত্বেরভিত্তিতে সম্পাদন করার পরিকল্পনা করেন।

জিম রবিন বলেন, ‘‘যারা দিনের শুরুটা দেরিতে করেন, তারা শুরুতেই পিছিয়ে যান। সকালে আপনার দুইটি পছন্দকে প্রাধান্য দিন, কোনো অ্যালার্ম সেট করা ছাড়াই সকালে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এরপর আপনার আপনার নিজের কাজ ও সম্পর্কগুলো প্রাধান্য দিন।– সকালটা সুশৃঙ্খলভাবে শুরু করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনার মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে। ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠুন। শুধু জেগে উঠতে হবে এই জন্য নয়, আপনি একটি লক্ষ্য পূরনের উদ্দেশ্যে দিনটি শুরু করুন। সকালের শুরুটা আপনার দিন বদলে দিতে পারে। আপনি নিজের জন্য পরিকল্পনা সাজান, এবং নিজেই নিজের বস হয়ে উঠুন।’’ আপনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন আপনার দিনটি শুরু হয়।

সুতরাং ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। সারাদিনে শুধুমাত্র কাজের ওপর গুরুত্ব দেবেন না, গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজকে প্রাধান্য দিন। জিম রবিন আরও বলেন, ‘‘অনেক মানুষ সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। কিছু ব্যস্ত মানুষ জানেন না, কীভাবে দ্রুত এগোতে হয়। কারণ তারা জানেন না দিনের শুরুটা কোন কাজ দিয়ে করবেন। ‘কনফিউজ মুভমেন্ট’ তাদের এগোতে দেয় না।’’