ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো মামলায় ‘হত্যাকাণ্ডের ভিডিও’ তদন্ত সংস্থার হাতে

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

 আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘হত্যাকাণ্ডের ভিডিও’ হাতে পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। ওই ভিডিও থেকে প্রতিবেদনে তথ্য যুক্ত করা হবে। এ জন্য প্রতিবেদন দাখিলে সময়ের আবেদন করা হয়। আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৫ মে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ। পরে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় আবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ । তবে তদন্ত পর্যায়ে আমরা একটা ভিডিও শনাক্ত করেছি। সেখানে কারা-কীভাবে এই হত্যাকা- করেছে, সে বিষয়টি সামনে এসেছে। এসব যুক্ত করে তদন্ত শেষ করতে একটু সময়ের দরকার। তাই আমরা এক মাস সময় চাইলে, আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।’

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ১৫ এপ্রিল তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল। ওই তিন পুলিশ সদস্য হলেন– ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

লাশ পোড়ানোর ঘটনার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর, লাশগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো মামলায় ‘হত্যাকাণ্ডের ভিডিও’ তদন্ত সংস্থার হাতে

আপডেট সময় : ১২:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘হত্যাকাণ্ডের ভিডিও’ হাতে পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। ওই ভিডিও থেকে প্রতিবেদনে তথ্য যুক্ত করা হবে। এ জন্য প্রতিবেদন দাখিলে সময়ের আবেদন করা হয়। আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৫ মে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ। পরে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে সময় আবেদনের বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ । তবে তদন্ত পর্যায়ে আমরা একটা ভিডিও শনাক্ত করেছি। সেখানে কারা-কীভাবে এই হত্যাকা- করেছে, সে বিষয়টি সামনে এসেছে। এসব যুক্ত করে তদন্ত শেষ করতে একটু সময়ের দরকার। তাই আমরা এক মাস সময় চাইলে, আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।’

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ১৫ এপ্রিল তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল। ওই তিন পুলিশ সদস্য হলেন– ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

লাশ পোড়ানোর ঘটনার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর, লাশগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।’