ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। এর মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— তাদের নির্দেশদাতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কী দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু: এদিকে দুই উপদেষ্টার সহকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের নজরে আসার পর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আক্তার হোসেন বলেন, দুই জন উপদেষ্টার দুই সহকারীর বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, তা করা হবে। এর আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিএ-এর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে যায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদের যুব সংগঠন যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকে যায়। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এছাড়া হাইকোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রায় একই ধরনের অভিযোগ দাখিল করেন দুদকে। অভিযোগে ওই দুইজন ছাড়াও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানের নামও রয়েছে। এসব বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। দুদক এ জাতীয় যেকোনও অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এই সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে।

 

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি -ছবি সংগৃহীত
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। এর মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— তাদের নির্দেশদাতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কী দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু: এদিকে দুই উপদেষ্টার সহকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের নজরে আসার পর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আক্তার হোসেন বলেন, দুই জন উপদেষ্টার দুই সহকারীর বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, তা করা হবে। এর আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিএ-এর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে যায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদের যুব সংগঠন যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকে যায়। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এছাড়া হাইকোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রায় একই ধরনের অভিযোগ দাখিল করেন দুদকে। অভিযোগে ওই দুইজন ছাড়াও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানের নামও রয়েছে। এসব বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। দুদক এ জাতীয় যেকোনও অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এই সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। এর মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— তাদের নির্দেশদাতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কী দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু: এদিকে দুই উপদেষ্টার সহকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের নজরে আসার পর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আক্তার হোসেন বলেন, দুই জন উপদেষ্টার দুই সহকারীর বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, তা করা হবে। এর আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিএ-এর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে যায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদের যুব সংগঠন যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকে যায়। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এছাড়া হাইকোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রায় একই ধরনের অভিযোগ দাখিল করেন দুদকে। অভিযোগে ওই দুইজন ছাড়াও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানের নামও রয়েছে। এসব বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। দুদক এ জাতীয় যেকোনও অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এই সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে।

 

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি -ছবি সংগৃহীত
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। এর মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে— তাদের নির্দেশদাতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কী দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু: এদিকে দুই উপদেষ্টার সহকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের নজরে আসার পর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আক্তার হোসেন বলেন, দুই জন উপদেষ্টার দুই সহকারীর বিষয়ে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়, তা করা হবে। এর আগে সকালে উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিএ-এর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে যায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদের যুব সংগঠন যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকে যায়। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এছাড়া হাইকোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রায় একই ধরনের অভিযোগ দাখিল করেন দুদকে। অভিযোগে ওই দুইজন ছাড়াও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানের নামও রয়েছে। এসব বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। দুদক এ জাতীয় যেকোনও অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট এই সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে।