স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: সুস্থ গর্ভাবস্থার মানে হলো মা এবং শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্য ভালো থাকা। এর মধ্যে রয়েছে ভালো খাওয়া, ব্যায়াম করা, অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলা এবং কার্যকরভাবে চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। সুস্থ গর্ভাবস্থার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা। বায়োটিন হলো বি ভিটামিনের মধ্যে একটি যা কার্বোহাইড্রেট, চর্বি এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড বিপাক করার জন্য পরিচিত। এটি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখে এবং অকাল প্রসবের ঝুঁকিও কমায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবারের কিছু প্রাকৃতিক উৎস সম্পর্কে-
১. মিষ্টি আলু
এই আলু বায়োটিন সহ পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। ১/২ কাপ রান্না করা মিষ্টি আলুতে ২.৪ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে, যা দৈনিক মূল্যের ৮%, যা প্রতিদিন প্রায় ৩০ মাইক্রোগ্রাম। আপনি বেকড, ম্যাশড, কাঁচা বা ভাজা সহ বিভিন্নভাবে মিষ্টি আলু খেতে পারেন। তাছাড়া এটি স্যুপ, স্যান্ডউইচ, প্যানকেক এবং তরকারির অংশ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
২. ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুম বায়োটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা সাধারণত চুলের বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী নখের জন্য সাহায্য করে। তবে এটি গর্ভবতী নারীর এবং গর্ভের ভেতরে থাকা শিশুরও উপকার করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি সম্পূর্ণ রান্না করা ডিম প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন প্রদান করতে পারে, যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩৩%।
৩. কাঠবাদাম
কাঠবাদাম প্রোটিন, ভিটামিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির পাশাপাশি জৈবিকেরও একটি ভালো উৎস। এটি ভ্রূণের বিকাশে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থার জটিলতার ঝুঁকি কমায়। কাঠবাদাম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি সামগ্রিকভাবে মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তবে অতিরিক্ত কাঠবাদাম না খাওয়া এবং প্রতিদিনের সুপারিশকৃত খাবারের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. পালং শাক
পালং শাকের মতো পাতাযুক্ত শাকও গর্ভবতীদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। এটি কেবল ফাইবার, ফোলেট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিনও রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (টঝউঅ) মতে, ১০০ গ্রাম পালং শাকে ৪.২৫ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে।
৫. কলা
পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কলায় বায়োটিনও বেশি থাকে, যা গর্ভাবস্থাকে সহায়তা করতে পারে। একটি মাঝারি কলায় প্রায় ০.২-০.৬ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে। গর্ভবতী নারীদের জন্য কলা শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বজায় রাখে, যা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়। তবে গর্ভাবস্থার খাদ্যতালিকায় কোনো পরিবর্তন করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।