নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহরাজ ইসলামকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে র্যাব। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেন বিচারক।
এ নিয়ে এ মামলায় পাঁচজন গ্রেফতার হলেন। এর আগে পুলিশ তিনজনকে এবং র্যাব এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে এক বার্তায় র্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, মামলাটির ১ নম্বর আসামি মেহরাজ ইসলামকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের একটি দল।
রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত শনিবার টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ হত্যাকা-ের পরদিন সকালে নিহতের চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেহরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এদের ছাড়াও নাম না দিয়ে আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় রোববার মধ্যরাতে বনানী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। এরপর সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস এলাকায় মামার বাড়ি থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা ইউনিটের যুগ্ম সদস্য সচিব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষারও এই হত্যা মামলার আসামি। শনিবার বিকালে রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার সময় ছোট একটি ঘটনায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয় পারভেজকে। হত্যাকা-ের পরদিন রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করে এ হত্যাকা-ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানীর কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ করে ছাত্রদল। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের ফেসবুক পেইজে ছাত্রদলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ঘটনায় তাদের নেতারা জড়িত নন; ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে।
দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে বললেন বিচারক: প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় নাম আসা দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে বলেছে আদালত।
এ মামলায় গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর রিমান্ড শুনানিতে বুধবার এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ এস এম মাঈন উদ্দিন এদিন হৃদয়কে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় এর আগে এজাহারনামীয় তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ আসামি এজাহারনামীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরা দেখেই এ মামলার সঙ্গে আসামির সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ নৃশংস হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটা জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা মিনু রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হৃদয় ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টের, এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অন্য ডিপার্টমেন্টের। এ হত্যার সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনো সম্পর্ক নেই। পারভেজ তার ডিপার্টমেন্টের কেউ না। মেয়েদেরও তিনি চেনেন না। পরে বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাস করেন, মেয়েরা কোথায়? তাদের ধরেননি কেন?
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এ মামলায় মেয়েদের সন্দেহ করার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। আবু জর পিয়াস নামে একটা ছেলে সবকিছু অর্গানাইজ করেছে। আমরা তাকে খুঁজছি। এরপর বিচারক বলেন, মামলার সঙ্গে মেয়েদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা স্পটে ছিল, মেয়েগুলোর ভূমিকা ছিল। তাদের খুঁজে বের করুন।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, এ মামলার আসামি কে কে-সেটা এজাহারে স্পষ্ট বলা আছে। এক, দুই ও তিন নম্বর আসামি কে কী ভূমিকা রেখেছে, সেটাও দেওয়া হয়েছে। তাদের ধরা হয়েছে। রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত সিসি ক্যামেরায় তার (হৃদয় মিয়াজীর) কোনো ভূমিকার কথা বলা নাই। রাজনৈতিকভাবে তাকে এ মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তাকে রিমান্ড না দিয়ে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিন।
শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে হৃদয় মিয়াজীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। গত ১৯ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেফতার মেহরাজ ইসলাম -ছবি সংগৃহীত
প্রাইমএশিয়ার ছাত্র খুনের প্রধান আসামি মেহরাজ ৭ দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহরাজ ইসলামকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে র্যাব। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেন বিচারক।
এ নিয়ে এ মামলায় পাঁচজন গ্রেফতার হলেন। এর আগে পুলিশ তিনজনকে এবং র্যাব এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে এক বার্তায় র্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, মামলাটির ১ নম্বর আসামি মেহরাজ ইসলামকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের একটি দল।
রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত শনিবার টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ ছুরিকাঘাতে খুন হন। এ হত্যাকা-ের পরদিন সকালে নিহতের চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেহরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এদের ছাড়াও নাম না দিয়ে আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় রোববার মধ্যরাতে বনানী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। এরপর সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস এলাকায় মামার বাড়ি থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা ইউনিটের যুগ্ম সদস্য সচিব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষারও এই হত্যা মামলার আসামি। শনিবার বিকালে রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার সময় ছোট একটি ঘটনায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয় পারভেজকে। হত্যাকা-ের পরদিন রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করে এ হত্যাকা-ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানীর কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ করে ছাত্রদল। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের ফেসবুক পেইজে ছাত্রদলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ঘটনায় তাদের নেতারা জড়িত নন; ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে।
দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে বললেন বিচারক: প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় নাম আসা দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে বলেছে আদালত।
এ মামলায় গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর রিমান্ড শুনানিতে বুধবার এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ এস এম মাঈন উদ্দিন এদিন হৃদয়কে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় এর আগে এজাহারনামীয় তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ আসামি এজাহারনামীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরা দেখেই এ মামলার সঙ্গে আসামির সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ নৃশংস হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটা জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা মিনু রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হৃদয় ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টের, এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অন্য ডিপার্টমেন্টের। এ হত্যার সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনো সম্পর্ক নেই। পারভেজ তার ডিপার্টমেন্টের কেউ না। মেয়েদেরও তিনি চেনেন না। পরে বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাস করেন, মেয়েরা কোথায়? তাদের ধরেননি কেন?
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এ মামলায় মেয়েদের সন্দেহ করার মতো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। আবু জর পিয়াস নামে একটা ছেলে সবকিছু অর্গানাইজ করেছে। আমরা তাকে খুঁজছি। এরপর বিচারক বলেন, মামলার সঙ্গে মেয়েদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা স্পটে ছিল, মেয়েগুলোর ভূমিকা ছিল। তাদের খুঁজে বের করুন।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, এ মামলার আসামি কে কে-সেটা এজাহারে স্পষ্ট বলা আছে। এক, দুই ও তিন নম্বর আসামি কে কী ভূমিকা রেখেছে, সেটাও দেওয়া হয়েছে। তাদের ধরা হয়েছে। রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত সিসি ক্যামেরায় তার (হৃদয় মিয়াজীর) কোনো ভূমিকার কথা বলা নাই। রাজনৈতিকভাবে তাকে এ মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তাকে রিমান্ড না দিয়ে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিন।
শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে হৃদয় মিয়াজীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। গত ১৯ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।