রংপুর সংবাদদাতা: ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘পালিয়ে যাবার দিন আরো কয়েক লাখ মানুষকে মেরেও যদি থাকার সুযোগ হতো তাহলে শেখ হাসিনা সেটাই করতেন। এতো হত্যাকা-ের পরও আওয়ামী লীগ ন্যূনতম অনুশোচনাবোধ প্রকাশ করেনি। একটা দল কতটা হিংস্র হলে এটি সম্ভব।’
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে যেভাবে পালিয়েছেন তার দায় শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের। কারণ তাদের অপকর্ম, স্বৈরাচারী মনোভাব ও ফ্যাসিবাদ কায়েম চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে মানুষকে হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। যারা এখনো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ যে নেত্রী নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে পালিয়ে যেতে পারেন তার কথায় আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি পাশে থাকবেন তো? হাসিনা ফিরে আসার জন্য যে চিন্তা করছে এ প্রজন্মের সঙ্গে লড়াই করে এটা কখনোই সম্ভব হবে না।’
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি কারও ইশারায় বা কারো মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে বলেছেন কিনা এটা পর্যালোচনার দাবি রাখে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং যারা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সঙ্গে বেঈমানিসূচক শব্দ।’
জুলাই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি আমাদের নিয়মতান্ত্রিকতার বিষয়গুলো বলেছেন। একটি মামলা হুট করে নিষ্পত্তি করে দিতে পারেন না। শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যদিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়নি। একটি বিপ্লব, আন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থান নিয়মকানুন মেনে হয় না। সবকিছুর বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে তারা গণঅভ্যুত্থানকে ধারণ করে মামলাগুলো নিষ্পত্তি করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
এ সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ মেসবাহুল করিম, মহানগর সভাপতি নুরুল হুদা, সেক্রেটারি আনিসুর রহমান, জেলা সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সোহেল রানা ও কারমাইকেল কলেজ সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।