ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠানে ঢুকে হিন্দুত্বাদীদের হাঙ্গামা, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান

  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের ওঢাভ এলাকায় ‘ইস্টার সানডে’র প্রার্থনার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (২০ এপ্রিল) দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ইস্টার সানডে’র প্রার্থনার সময় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) লোকজন ওই স্থানে ঢুকে হাঙ্গামা শুরু করে। তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। তারা খ্রিস্টানদের প্রার্থনা কক্ষে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দেয়। খবরে আরও বলা হয়, দুই সংগঠনের দুর্বৃত্তরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত খ্রিস্টানদের মধ্যে কতজন হিন্দু তা জানতে চায়। তারা স্থানীয় লোকজনকে হিন্দু থেকে খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে বলে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তোলে। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রায় ১০০ জন ইস্টারের প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিলেন। হঠাৎ সেখানে বজরং দল ও ভিএইচপি কর্মীরা ঢুকে পড়েন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় হামলাকারীরা হাতে লাঠি নিয়ে উত্তেজক স্লোগান দিচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়। ওঢাভ থানার কর্মকর্তা পি এন জিনজুভাদিয়া জানান, বজরং দলের স্থানীয় প্রতিনিধি দর্শন জোশি একটি লিখিত অভিযোগে অনুষ্ঠানে ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল বলে দাবি করেন। তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এমন কোনো প্রমাণ পায়নি। অন্যদিকে, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইমানুয়েল আময়দাস ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামা যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যারা জোর করে হলঘরে ঢুকে পড়ে এবং উপস্থিতদের ভয় দেখায়। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তাধীন এবং প্রমাণের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার জেরে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ালেও পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে তারা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠানে ঢুকে হিন্দুত্বাদীদের হাঙ্গামা, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান

আপডেট সময় : ০৮:০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের ওঢাভ এলাকায় ‘ইস্টার সানডে’র প্রার্থনার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (২০ এপ্রিল) দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ইস্টার সানডে’র প্রার্থনার সময় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) লোকজন ওই স্থানে ঢুকে হাঙ্গামা শুরু করে। তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। তারা খ্রিস্টানদের প্রার্থনা কক্ষে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দেয়। খবরে আরও বলা হয়, দুই সংগঠনের দুর্বৃত্তরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত খ্রিস্টানদের মধ্যে কতজন হিন্দু তা জানতে চায়। তারা স্থানীয় লোকজনকে হিন্দু থেকে খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে বলে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তোলে। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রায় ১০০ জন ইস্টারের প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিলেন। হঠাৎ সেখানে বজরং দল ও ভিএইচপি কর্মীরা ঢুকে পড়েন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় হামলাকারীরা হাতে লাঠি নিয়ে উত্তেজক স্লোগান দিচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়। ওঢাভ থানার কর্মকর্তা পি এন জিনজুভাদিয়া জানান, বজরং দলের স্থানীয় প্রতিনিধি দর্শন জোশি একটি লিখিত অভিযোগে অনুষ্ঠানে ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল বলে দাবি করেন। তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এমন কোনো প্রমাণ পায়নি। অন্যদিকে, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইমানুয়েল আময়দাস ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামা যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যারা জোর করে হলঘরে ঢুকে পড়ে এবং উপস্থিতদের ভয় দেখায়। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তাধীন এবং প্রমাণের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার জেরে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ালেও পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে তারা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।