অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: দেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্তদের পারিশ্রমিক বিদেশ থেকে দেশে আনতে নানান রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রাপ্ত অর্থ সহজ উপায়ে দেশে আনতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক নিয়ে এসেছে ‘ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’। রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্টের উদ্বোধন করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘরে বসে যে কোনো ফ্রিল্যান্সার এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়া অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনো অর্থ জমা করতে হবে না। অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টটিতে লেনদেন করা যাবে।
এজন্য গ্রাহককে সময় নষ্ট করে শাখায় যেতে হবে না। ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্টের ফিচারসমূহের মধ্যে রয়েছে- যে কোনো স্থান থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা। বৈদেশিক আয় ও ব্যয়ের ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সুদবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট, যা সেভিংস/কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ফ্রিল্যান্সিং আয়ের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্টে রাখা যাবে। বাকি অর্থ টাকায় দেশীয় অ্যাকাউন্টে জমা হবে। বৈধ ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত ব্যয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড ব্যবহারযোগ্য। অনলাইনে ফর্ম-সি জমা দিয়ে সহজে ক্রেডিট রেমিট্যান্স গ্রহণের সুবিধা। এছাড়া রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং অভিজ্ঞতার জন্য অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাক্সেস। এই অ্যাকাউন্টের সুবিধাসমূহ হলো- যে কোনো পরিমাণ অর্থ দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা। কোনো অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি নেই। প্রকৃত ও বৈধ ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড একেবারে বিনামূল্যে। ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত চার্জমুক্ত স্মার্ট অ্যাকাউন্ট। বিনামূল্যে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট প্রদান। ব্যক্তিগত ঋণ এবং নির্দিষ্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি এবং বার্ষিক ফি মওকুফ।
অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বসে সারা পৃথিবীর কাজ আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা করছেন। তারা আমাদের দেশের জন্য মূল্যবান ফরেন কারেন্সি নিয়ে আসছেন। এজন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক তাদের জন্য নতুন এই সেবা চালু করেছে। ব্যাংকটির ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর লুৎফুল হাবিব বলেন, বাংলাদেশে আমরাই প্রথম এটিএম মেশিন নিয়ে এসেছি। এখন আমাদের প্রায় ১২ হাজারের মতো এটিএম মেশিন আছে। প্রথম ডেবিট কার্ড-ক্রেডিট কার্ড আমরা চালু করেছি। আমাদের এখানে ব্যাংকিংয়ের বড় সুবিধা হলো আমাদের নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। আফ্রিকা থেকে শুরু করে এশিয়া এবং উন্নত বিশ্বে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি নতুন নতুন সেবা প্রদান করতে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট সমানে আনা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. তানজিবা রহমান ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করায় ব্যাংকটিকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার এবং ব্যাংকটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।