ক্রীড়া ডেস্ক: দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কেবল স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়া নয়, দলটির কোচ গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তিও। এই কোচ যে অতীতে ছিলেন বাংলাদেশের কোচ, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতেও কাজ করেছেন। আশরাফুল-রাকিবুল-মিমোদের শক্তি, দুর্বলতা তার ভালোভাবেই জানা! এএইচএফ কাপ হকিতে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকা মামুনুর রশীদও ভালো করে জানেন গোবিনাথান অতীত জানাশোনা কাজে লাগাতে চাইবেন। তাই তিনিও ছক কষছেন নিজের মতো করে। কাজাখস্তানের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ের ম্যাচে ছক পরিকল্পনামাফিক কাজ করেছে বলে আরও আত্মবিশ্বাসী মামুনুর। বললেন, ধীর পায়ে তিনি হাঁটতে চেয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে। “প্রথম ম্যাচ বলে আমরা কাজাখস্তানের বিপক্ষে শুরুর দিকে ওদেরকে পরখ করে নিতে চেয়েছিলাম। ওরা ইউরোপের ধাঁচে খেলে, দেখতে চেয়েছিলাম ওরা আমাদের সাথে কিভাবে খেলতে চায়। এ কারণে আমরা একটু ধীরে শুরু করেছিলাম।”
“বৃষ্টির কারণেও আমাদের খেলায় একটু ছন্দপতন হয়েছিল। কেননা, পানির কারণে মাঠ ভারি হয়ে উঠেছিল, স্টিকের গ্রিপ রাখা যাচ্ছিল না। তবে বৃষ্টির থামার পর আমরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি এবং দ্রুত তিন গোল করতে পেরেছি। গোল ব্যবধান না বাড়লেও মোটামুটি পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম ম্যাচে সবকিছু হয়েছে আমাদের।” পুল ‘বি’তে ইন্দোনেশিয়ার শুরুটা অবশ্য বাংলাদেশের মতো জয়ের হাসি দিয়ে হয়নি। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যায় তারা। ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ কোচ গোবিনাথান অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবেন, জানেন মামুনুরও। রোববারের ম্যাচ নিয়ে তাই তিনিও ভাবছেন ভিন্নভাবে। “ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আমাদের চ্যালেঞ্জ দুটি।
প্রথমত, ওরা স্বাগতিক। যদিও প্রথম ম্যাচে হেরেছে, কিন্তু নিজেদের টার্ফে খেলার বাড়তি সুবিধা ওরা পাবে, ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। দ্বিতীয়ত, ওদের কোচ গোবিনাথান, যে বাংলাদেশের কোচ ছিল, বিকেএসপির কোচ ছিল।” “ফলে, সে আমাদের খেলোয়াড়দের কৌশল, সামর্থ্য সম্পর্কে অনেক জানে। এই জানাটুকু সে আমাদের বিপক্ষেই কাজে লাগাতে চাইবে। এটা খুব বড় বিষয় নয়, তারপরও বিষয়টা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে আমাদের। আজ (শনিবার) রিকভারি করবে ছেলেরা, ভিডিও সেশনও আছে। সেখানেই পরিকল্পনা বুঝিয়ে দেব ছেলেদের।”