ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
প্রতারণা বলছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

শনিবার টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত সেমিনারের ছবিটি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহক পর্যায়ে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট পরিষেবার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত এক সেমিনারে সংগঠনটির সভাপতি ইমদাদুল হক এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তকে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ইমদাদুল হক জানান, এখন থেকে ৫০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে গ্রাহকরা ১০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন, যা আগে ৫ এমবিপিএস ছিল। এই সিদ্ধান্ত শনিবার থেকেই কার্যকর হবে।

তিনি আরো জানান, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন ব্রডব্যান্ড সেবার সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস করতে চায় এবং এজন্য লাইসেন্স আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন। পাশাপাশি, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের দাবি জানান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। তারা সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তিরও দাবি জানান।

তবে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, সরকার এরইমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য কমিয়েছে এবং গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের চেষ্টায় পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হয়েছে। তাছাড়া ফাইবারের জটিলতাও নিরসন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে তা আসলে পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট নয়, বরং এক ধরনের ইন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট। যেখানে ভারত থেকে ১ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ৮০ টাকায় কেনা হয়, সেখানে বাংলাদেশে এর দাম অনেক বেশি। গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ ১০০ এমবিপিএস প্রত্যাশা করেছিল। বিটিআরসি যদি ১০ এমবিপিএস গতির সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেয়, তবে তা অন্যায় ও অযৌক্তিক হবে। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধও জানান তিনি।

মোবাইল অপারেটরদের একটি দাবি পূরণে গ্রাহকের সুফল কতটা: এদিকে ইজারা নেওয়া অপটিক্যাল ফাইবারে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র ব্যবহারে মোবাইল অপারেটরদের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

অপারেটররা বলছে, এখন তারা এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এতে মোবাইল ইন্টারনেট-সেবার মান বাড়ানো ও ব্যয় সাশ্রয়ের সুযোগ তৈরি হবে।

অতীতে অপারেটররা এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালে বিটিআরসি এই যন্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে। যন্ত্রটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয় শুধু নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরদের।

এনটিটিএন অপারেটররা সারা দেশে অপটিক্যাল ফাইবার (বিশেষ ধরনের তার) স্থাপন করে এবং তার মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের সেবা দেয়। মোবাইল অপারেটররা অপটিক্যাল ফাইবার ইজারা নিয়ে তার মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সঞ্চালন করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এনটিটিএন অপারেটররা নিজেদের অপটিক্যাল ফাইবারে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র বসিয়ে সেটার সেবা নিতে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে টাকা নিত। মূলত এনটিটিএন অপারেটরদের ব্যবসা দিতে মোবাইল অপারেটরদের ওপর যন্ত্রটি ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিল বিটিআরসি।

নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্রটির নাম ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (ডিডব্লিউডিএম)। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যা মোবাইল নেটওয়ার্ককে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বাংলাদেশে ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোবাইল অপারেটররাই বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছিল।

টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা প্রদান, নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং দ্রুত ত্রুটি শনাক্ত করতে ডিডব্লিউডিএম গুরুত্বপূর্ণ।

এনটিটিএন থেকে ইজারা নেওয়া অপটিক্যাল ফাইবারে মুঠোফোন অপারেটরের ডিডব্লিউডিএম যন্ত্র ব্যবহারের বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিটিআরসি।

সুফল কী: অনেক দিন ধরেই বিটিআরসির কাছে ডিডব্লিউডিএম ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা। তাদের সেই দাবি পূরণ হলো।

বিটিআরসি সূত্র বলছে, দাবি তোলার ক্ষেত্রে অপারেটররা সেবার মান বাড়ানো ও ব্যয় সাশ্রয়ের কথা বলেছিল, যার সুফল পাওয়ার কথা গ্রাহকের।

মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি খুব বড় কোনো সাশ্রয় নয়। এ জন্য আমি তাৎক্ষণিক কোনো সুফলের কথা বলব না। তবে সুফল তো আছেই। আমাদের খরচ যদি কমে যায়, তাহলে তার সুফল গ্রাহকও পাবেন।’

দেশের ইন্টারনেট গ্রাহকদের বেশির ভাগ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিটিআরসির হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি শেষে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ। সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই তাঁকে গ্রাহক হিসেবে ধরে বিটিআরসি।

মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমবে কি না, জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান তাইমুর রহমান ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিডব্লিউডিএম ব্যবহারে মাত্র অনুমোদন পেলাম। সময় লাগবে। আমরা দেখব কীভাবে গ্রাহককে সুবিধা দেওয়া যায়।’

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারণা বলছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহক পর্যায়ে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট পরিষেবার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) টেলিকম রিপোর্টারদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত এক সেমিনারে সংগঠনটির সভাপতি ইমদাদুল হক এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তকে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ইমদাদুল হক জানান, এখন থেকে ৫০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে গ্রাহকরা ১০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন, যা আগে ৫ এমবিপিএস ছিল। এই সিদ্ধান্ত শনিবার থেকেই কার্যকর হবে।

তিনি আরো জানান, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন ব্রডব্যান্ড সেবার সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস করতে চায় এবং এজন্য লাইসেন্স আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন। পাশাপাশি, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের দাবি জানান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। তারা সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তিরও দাবি জানান।

তবে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, সরকার এরইমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য কমিয়েছে এবং গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের চেষ্টায় পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হয়েছে। তাছাড়া ফাইবারের জটিলতাও নিরসন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আইটিসির মাধ্যমে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে তা আসলে পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট নয়, বরং এক ধরনের ইন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারনেট। যেখানে ভারত থেকে ১ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ৮০ টাকায় কেনা হয়, সেখানে বাংলাদেশে এর দাম অনেক বেশি। গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ ১০০ এমবিপিএস প্রত্যাশা করেছিল। বিটিআরসি যদি ১০ এমবিপিএস গতির সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেয়, তবে তা অন্যায় ও অযৌক্তিক হবে। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধও জানান তিনি।

মোবাইল অপারেটরদের একটি দাবি পূরণে গ্রাহকের সুফল কতটা: এদিকে ইজারা নেওয়া অপটিক্যাল ফাইবারে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র ব্যবহারে মোবাইল অপারেটরদের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

অপারেটররা বলছে, এখন তারা এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এতে মোবাইল ইন্টারনেট-সেবার মান বাড়ানো ও ব্যয় সাশ্রয়ের সুযোগ তৈরি হবে।

অতীতে অপারেটররা এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালে বিটিআরসি এই যন্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে। যন্ত্রটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয় শুধু নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরদের।

এনটিটিএন অপারেটররা সারা দেশে অপটিক্যাল ফাইবার (বিশেষ ধরনের তার) স্থাপন করে এবং তার মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের সেবা দেয়। মোবাইল অপারেটররা অপটিক্যাল ফাইবার ইজারা নিয়ে তার মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সঞ্চালন করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এনটিটিএন অপারেটররা নিজেদের অপটিক্যাল ফাইবারে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র বসিয়ে সেটার সেবা নিতে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে টাকা নিত। মূলত এনটিটিএন অপারেটরদের ব্যবসা দিতে মোবাইল অপারেটরদের ওপর যন্ত্রটি ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিল বিটিআরসি।

নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্রটির নাম ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (ডিডব্লিউডিএম)। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যা মোবাইল নেটওয়ার্ককে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বাংলাদেশে ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোবাইল অপারেটররাই বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছিল।

টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা প্রদান, নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং দ্রুত ত্রুটি শনাক্ত করতে ডিডব্লিউডিএম গুরুত্বপূর্ণ।

এনটিটিএন থেকে ইজারা নেওয়া অপটিক্যাল ফাইবারে মুঠোফোন অপারেটরের ডিডব্লিউডিএম যন্ত্র ব্যবহারের বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিটিআরসি।

সুফল কী: অনেক দিন ধরেই বিটিআরসির কাছে ডিডব্লিউডিএম ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা। তাদের সেই দাবি পূরণ হলো।

বিটিআরসি সূত্র বলছে, দাবি তোলার ক্ষেত্রে অপারেটররা সেবার মান বাড়ানো ও ব্যয় সাশ্রয়ের কথা বলেছিল, যার সুফল পাওয়ার কথা গ্রাহকের।

মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি খুব বড় কোনো সাশ্রয় নয়। এ জন্য আমি তাৎক্ষণিক কোনো সুফলের কথা বলব না। তবে সুফল তো আছেই। আমাদের খরচ যদি কমে যায়, তাহলে তার সুফল গ্রাহকও পাবেন।’

দেশের ইন্টারনেট গ্রাহকদের বেশির ভাগ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিটিআরসির হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি শেষে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ। সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই তাঁকে গ্রাহক হিসেবে ধরে বিটিআরসি।

মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমবে কি না, জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান তাইমুর রহমান ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিডব্লিউডিএম ব্যবহারে মাত্র অনুমোদন পেলাম। সময় লাগবে। আমরা দেখব কীভাবে গ্রাহককে সুবিধা দেওয়া যায়।’