নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় জনশক্তি রপ্তানকারক এভিয়েট ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার নুরুল আমিনকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন।
দণ্ডিতের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানান, জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে নুরুল আমিনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর তথ্য গোপনের অভিযোগে নুরুলকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
আইনজীবী শফিকুল বলেন, জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
“দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। এজন্য তাকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে।”
রায় ঘোষণার আগে নুরুল আমিন আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, নুরুল আমিনকে সম্পদের বিবরণী দাখিলে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই নোটিস দেয় দুদক। পরে ২০১০ সালের ২২ আগস্ট তিনি সেই বিবরণী দাখিল করেন।
হিসাব বিবরণীতে মোট ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ টাকার সম্পদ দাখিল করা হয়; যার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ টাকার স্থাবর এবং ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ। পরে দুদক পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, নুরুল আমিনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে।
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। পরে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ এক দশক বাদে ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হলো।