নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭ হাজার ১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। অনেক যাচাই-বাছাই করে মামলা প্রত্যাহারের কাজটি করতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে ৭০-৮০ ভাগ মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। বাকিগুলো রাজনৈতিক সরকার এলে তারা করবে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাগুরার শিশু আছিয়ার ধর্ষণ মামলার চার্জশিট প্রস্তুত। পুলিশ সদর দফতর সেটা খতিয়ে দেখছে। আজকের মধ্যে চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে। এরপর নতুন আইনে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ডিএনএ রিপোর্টসহ সব কিছু পাওয়া গেছে, সে জন্য ৯০ দিনের আগেই এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী।’
জঙ্গি ও দাগী অপরাধীদের জামিনে মুক্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আসামিরা জামিন পেলে আইন মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু যারা জামিন পেয়েছেন তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু করণীয় নেই। আর নিম্ন আদালত থেকে যারা জামিন পেয়েছেন তারা সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারা এজাহারভুক্ত মামলার আসামি না। পুলিশ রিপোর্টে যাদের রাজনৈতিক কিংবা অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ থাকে না তাকে জামিন দেওয়া ছাড়া আদালতের করণীয় থাকে না।’
সুইডেন আসলামসহ দাগী অপরাধীদের জামিনে মুক্তির বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের অনেকেই বিগত সরকারের সময়ে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু তারা হয়তো ভয়ে বের হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর দ্রুত তারা জামিনে বের হয়ে গেছে।’
রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘এটা করতে পারলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের আসিফ নজরুল বলেন, ‘দুই বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা করা হলেও হ্যাকাররা শেষ পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৮৮ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার পরিকল্পনা করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের যারা জড়িত তাদের বাঁচানোর নির্দেশনা দিয়েছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। সে সময় প্রাথমিক রিপোর্টে যাদের নাম এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চাওয়া হবে। যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’