নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৫৬ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ইনভেস্ট সামিট ২০২৫-এর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
সোমবার দেশব্যাপী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভের সময় সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, গাজীপুর ও বগুড়াসহ দেশের আরো কয়েকটি শহরে বাটা শো-রুম ও কেএফসি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রেস সচিব সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে ৪৯ জনের গ্রেফতারের খবর জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দৃঢ় প্রয়াসে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য থাকা যে কাউকে এগিয়ে আসার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।