ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

মাঝারি তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী সংবাদদাতা : দুই দিন ধরে রাজশাহীতে চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। সূর্যের তেজে সকাল থেকেই পুড়ে উঠছে পথঘাট। এর সঙ্গে বইছে লু হাওয়া, যা জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের বাজারের উদ্দেশ্যে মানুষ বের হলেও, সাধারণ মানুষ শহরের রাস্তায় খুব কমই বের হচ্ছেন। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন, শুক্রবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাজশাহীর চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, কোনো এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটি মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। সে অনুযায়ী, রাজশাহীতে দুই দিন ধরে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। এর আগে, গত শুক্রবার ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের দড়িখড়বোনা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক মো. সাইফুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, “সকাল থেকেই রাস্তার পিচ গরম হয়ে যাচ্ছে। একটু বেলা বাড়লেই তাপে মনে হচ্ছে গা পুড়ে যাচ্ছে। তবে বিশ্রাম নেয়া সম্ভব নয়। ঈদে টাকার দরকার, তাই বেরিয়েছি।” রেলগেট এলাকায় আখের রস বিক্রেতা তুহিন আলী জানান, “রোজার শুরু থেকেই রসের চাহিদা বেশি। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।

সারাদিন রোজা রেখে মানুষ এই তাপে তৃপ্তি পেতে আখের রস কিনে নিচ্ছেন। তবে গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করতে আমারও হাঁসফাঁস লেগে যাচ্ছে।” রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা খাতুন জানান, রাজশাহীতে সর্বশেষ ২১ ও ২২ মার্চ ৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২৩ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবারের চেয়ে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও, গরমের তীব্রতা কমেনি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাঝারি তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

রাজশাহী সংবাদদাতা : দুই দিন ধরে রাজশাহীতে চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। সূর্যের তেজে সকাল থেকেই পুড়ে উঠছে পথঘাট। এর সঙ্গে বইছে লু হাওয়া, যা জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের বাজারের উদ্দেশ্যে মানুষ বের হলেও, সাধারণ মানুষ শহরের রাস্তায় খুব কমই বের হচ্ছেন। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন, শুক্রবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রাজশাহীর চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, কোনো এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটি মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। সে অনুযায়ী, রাজশাহীতে দুই দিন ধরে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। এর আগে, গত শুক্রবার ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের দড়িখড়বোনা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক মো. সাইফুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, “সকাল থেকেই রাস্তার পিচ গরম হয়ে যাচ্ছে। একটু বেলা বাড়লেই তাপে মনে হচ্ছে গা পুড়ে যাচ্ছে। তবে বিশ্রাম নেয়া সম্ভব নয়। ঈদে টাকার দরকার, তাই বেরিয়েছি।” রেলগেট এলাকায় আখের রস বিক্রেতা তুহিন আলী জানান, “রোজার শুরু থেকেই রসের চাহিদা বেশি। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।

সারাদিন রোজা রেখে মানুষ এই তাপে তৃপ্তি পেতে আখের রস কিনে নিচ্ছেন। তবে গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করতে আমারও হাঁসফাঁস লেগে যাচ্ছে।” রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা খাতুন জানান, রাজশাহীতে সর্বশেষ ২১ ও ২২ মার্চ ৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২৩ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবারের চেয়ে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও, গরমের তীব্রতা কমেনি।