ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তায় জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম একটি প্রভাবশালী দৈনিকের সাংবাদিক বলে জোরালো প্রতিবাদ হচ্ছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার একটাই কারণ, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। জবাবদিহি নেই। একজন সাংবাদিককে সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কীভাবে নাজেহাল করেছেন, তা আমরা ভিডিওতে দেখেছি। এটা অবিশ্বাস্য। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই কর্মকর্তাদের বদলি করা তো কোনো সমাধান নয়। তাঁদের সাথে সাথেই বরখাস্ত করা উচিত ছিল। এটা শুধু নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার পর কারাগারে নেওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি, এটা করলে, সাংবাদিকেরা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে।’
বর্তমান অবস্থায় মুক্ত সাংবাদিকতা সম্ভব নয় দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রোজিনা ইসলামের ঘটনা প্রমাণ করেছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা একেবারেই নেই। রোজিনা ইসলামের ওপরে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারের মধ্যেও তাঁকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে। এটা থেকে প্রামাণিত হয় সরকার রাজনৈতিক সরকার নয়। এ সরকার পুরোপুরিভাবে আমলাতান্ত্রিক সরকার। এখন আমলারাই পলিসি নির্ধারণ করেন। তাঁরাই দেশকে একটা চরম অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদকর্মীরা যেন সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে না পারেন, বিশেষ করে চুরি-দুর্নীতির ঘটনা যেন প্রকাশ না হয়, সে কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বর্তমান সরকার সাংবাদিক দলন-নিপীড়নসহ মানুষের অধিকার হরণ করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে। মতবিনিময়ের সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল হালিম, জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তায় জড়িতদের বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার চাইলেন মির্জা ফখরুল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ