ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

তোমরা চিরদিন কাঁদবে

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে

শাহনেওয়াজ কবির ইমন

 

এই তো সেদিন তোমরা আমাদের হত্যা করলে,
কাপুরুষের মতো ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করলে।
ভাবলে হিংস্রতা দেখালেই আমরা ভীত হবো!
ভাবলে নিরস্ত্র দুর্বল জনগণ কী-ই বা করবে!

তোমরা ভাবতেই পারোনি নিরীহ এই জাতি,
কতটা ভয়ঙ্কর ও দুর্বার হয়ে উঠতে পারে।
তোমাদের সকল দৃঢ়তা ও প্রশিক্ষিত শক্তি,
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রুখে দিতে পারে।

আমরা যে বীরের জাতি, তোমরা ভুলে গেলে।
সেই ভুল তোমাদের চরম মূল্যে চুকিয়ে গেলে।
কিন্তু রেখে গেলে কাপুরুষতার এক উপাখ্যান;
পেলে চরম অপমানের পরাজিত পরিণাম।

তোমরা আমাদের বাধ্য করলে অস্ত্র নিতে;
তোমরা বাধ্য করলে আমাদের নির্মম হতে।
বিনিময়ে হারালে তোমাদের জীবন, মর্যাদা!
আমরা তো পেলাম সর্বকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।

তোমরা হারালে বিশ্বাস, হারালে সহোদর;
তোমরা রচনা করলে কলঙ্কিত এক অধ্যায়।
কী করে ভুলব বলো এমন রক্তাক্ত প্রান্তর!
যখন হারাতে বসেছিলাম নিজস্ব সব অক্ষর!

তোমরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে হয়েছিলে পিশাচ।
তোমরা সৃষ্টির বিধান অস্বীকার করেছিলে।
তাই আজও তোমরা আমাদের কাছে নীচ;
হলে বিশ্বাসঘাতক, শুধু অভিশাপ কুড়োলে।

আমারা চেয়েছিলাম সমমর্যাদা, স্বাধিকার-
তোমরা দিলে মুক্তি, তোমরা দিলে অধিকার।
যা তোমরা স্বপ্নেও ভাবোনি, তাই হলো বাংলার!
বাংলাদেশ পেল নাম, জানলো বিশ্ব দরবার।

জনতা পেল একটি মুক্ত বাংলাদেশের স্বাদ।
বুঝতে শিখলো, রাখতে হবে বাংলার মান।
তোমরা পালালে ভীষণতর কাপুরুষ হয়ে;
আমরা আগালাম বিশ্ব বীরের মর্যাদা নিয়ে।

গভীর পরিতাপে তবুও তোমাদের সালাম;
তোমাদের জন্য প্রিয় বাংলাদেশ পেলাম।
বাংলাদেশ যতদিন থাকবে তোমরা কাঁদবে;
হে কলঙ্কিত জাতি, তোমরা চিরদিন কাঁদবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তোমরা চিরদিন কাঁদবে

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

শাহনেওয়াজ কবির ইমন

 

এই তো সেদিন তোমরা আমাদের হত্যা করলে,
কাপুরুষের মতো ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করলে।
ভাবলে হিংস্রতা দেখালেই আমরা ভীত হবো!
ভাবলে নিরস্ত্র দুর্বল জনগণ কী-ই বা করবে!

তোমরা ভাবতেই পারোনি নিরীহ এই জাতি,
কতটা ভয়ঙ্কর ও দুর্বার হয়ে উঠতে পারে।
তোমাদের সকল দৃঢ়তা ও প্রশিক্ষিত শক্তি,
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রুখে দিতে পারে।

আমরা যে বীরের জাতি, তোমরা ভুলে গেলে।
সেই ভুল তোমাদের চরম মূল্যে চুকিয়ে গেলে।
কিন্তু রেখে গেলে কাপুরুষতার এক উপাখ্যান;
পেলে চরম অপমানের পরাজিত পরিণাম।

তোমরা আমাদের বাধ্য করলে অস্ত্র নিতে;
তোমরা বাধ্য করলে আমাদের নির্মম হতে।
বিনিময়ে হারালে তোমাদের জীবন, মর্যাদা!
আমরা তো পেলাম সর্বকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।

তোমরা হারালে বিশ্বাস, হারালে সহোদর;
তোমরা রচনা করলে কলঙ্কিত এক অধ্যায়।
কী করে ভুলব বলো এমন রক্তাক্ত প্রান্তর!
যখন হারাতে বসেছিলাম নিজস্ব সব অক্ষর!

তোমরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে হয়েছিলে পিশাচ।
তোমরা সৃষ্টির বিধান অস্বীকার করেছিলে।
তাই আজও তোমরা আমাদের কাছে নীচ;
হলে বিশ্বাসঘাতক, শুধু অভিশাপ কুড়োলে।

আমারা চেয়েছিলাম সমমর্যাদা, স্বাধিকার-
তোমরা দিলে মুক্তি, তোমরা দিলে অধিকার।
যা তোমরা স্বপ্নেও ভাবোনি, তাই হলো বাংলার!
বাংলাদেশ পেল নাম, জানলো বিশ্ব দরবার।

জনতা পেল একটি মুক্ত বাংলাদেশের স্বাদ।
বুঝতে শিখলো, রাখতে হবে বাংলার মান।
তোমরা পালালে ভীষণতর কাপুরুষ হয়ে;
আমরা আগালাম বিশ্ব বীরের মর্যাদা নিয়ে।

গভীর পরিতাপে তবুও তোমাদের সালাম;
তোমাদের জন্য প্রিয় বাংলাদেশ পেলাম।
বাংলাদেশ যতদিন থাকবে তোমরা কাঁদবে;
হে কলঙ্কিত জাতি, তোমরা চিরদিন কাঁদবে।