নিজস্ব প্রতিবেদক :বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা সাত বছর রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন সংশোধন আইন পাস করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদে এ আইন পাস করা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে সাত বছর করা হয়েছে। এটি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার মধ্যেই থাকবে।
তবে একই আইনের মধ্যে পৃথকভাবে এটিকে রাখা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেন, ‘সরকারি কাজের দরপত্রে দুর্নীতি কমাতে এবং স্বচ্ছতার জন্য এখন থেকে সরকারি কাজ শতভাগ টেন্ডারের মাধ্যমে হবে। এত দিন টেন্ডারের মাধ্যমে ৬০ শতাংশ কাজ হতো। এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় চৈত্রসংক্রান্তিতে নির্বাহী আদেশে ছুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম আরও বলেন, অন্য জেলার বা সমতলের আদিবাসীরাও এ ছুটি পাবেন।
সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে। পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বার বার কাজ পেতো, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিতে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা পূর্বে নিজ নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। জনসাধারণের সুবিধার্থে ৩ এপ্রিল একদিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হয়েছে।






















