ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

সন্তানকে নিজের মতো চালিত করলেই বিপদ

  • আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

লাইস্টাইল ডেস্ক: সন্তানের ভালোমন্দ, সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদেরই। কিন্তু পড়াশোনা থেকে খেলাধুলা- সব কিছুতেই কি নিজের মতো চালিত করছেন? তা হলে অজান্তেই সন্তানের বিপদ ডেকে আনছেন। এই অধিকারবোধ সন্তানের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের সুতোও আলগা করে দেয়। কোন লক্ষণগুলো বলে দেবে আপনি আসলে সন্তানের জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করতে চাইছেন। তা হলো-
= সন্তানের রোজের রুটিন নিয়ে অনেক অভিভাবকই ভীষণ কড়া। নিয়মের এদিক-ওদিক হতে দেন না। কিন্তু বিষয়টি যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছায়, তাহলে সন্তানের মনেও আপনাকে নিয়ে বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে। সন্তানও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।

= ছোটবেলা থেকেই যেকোনও কিছু নিয়ে সন্তানের উপর প্রতিযোগিতা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এতে মা-বাবার সব চাহিদা মেটাতে না পেরে অনেকেই হীনম্মন্যতায় ভোগেন। যে কারণে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটে যায়। তাই সন্তানের যেটুকু ক্ষমতা, সেটুকুই উদযাপন করুন।

= সন্তানের প্রায়োরিটি অবশ্যই আগে। তাই বলে সন্তানকে সমর্থন করতে গিয়ে তার সামনেই অন্য কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফেলবেন না। সন্তানের কাছে তাতে ভুল বার্তা যেতে পারে। ভাবনাতেও স্বার্থপরতা ঢুকে পড়তে পারে।
= সন্তান কী পরবে, কী খাবে, কী বই পড়বে, কী সিনেমা দেখবে, এই সব কিছু আপনি নির্ধারণ করে দিতে না যাওয়াই ভালো। সন্তানের জীবনের পথপ্রদর্শক আপনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তার মতামতের কোনো গুরুত্ব থাকবে না।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সন্তানকে নিজের মতো চালিত করলেই বিপদ

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

লাইস্টাইল ডেস্ক: সন্তানের ভালোমন্দ, সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদেরই। কিন্তু পড়াশোনা থেকে খেলাধুলা- সব কিছুতেই কি নিজের মতো চালিত করছেন? তা হলে অজান্তেই সন্তানের বিপদ ডেকে আনছেন। এই অধিকারবোধ সন্তানের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের সুতোও আলগা করে দেয়। কোন লক্ষণগুলো বলে দেবে আপনি আসলে সন্তানের জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করতে চাইছেন। তা হলো-
= সন্তানের রোজের রুটিন নিয়ে অনেক অভিভাবকই ভীষণ কড়া। নিয়মের এদিক-ওদিক হতে দেন না। কিন্তু বিষয়টি যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছায়, তাহলে সন্তানের মনেও আপনাকে নিয়ে বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে। সন্তানও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।

= ছোটবেলা থেকেই যেকোনও কিছু নিয়ে সন্তানের উপর প্রতিযোগিতা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এতে মা-বাবার সব চাহিদা মেটাতে না পেরে অনেকেই হীনম্মন্যতায় ভোগেন। যে কারণে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটে যায়। তাই সন্তানের যেটুকু ক্ষমতা, সেটুকুই উদযাপন করুন।

= সন্তানের প্রায়োরিটি অবশ্যই আগে। তাই বলে সন্তানকে সমর্থন করতে গিয়ে তার সামনেই অন্য কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফেলবেন না। সন্তানের কাছে তাতে ভুল বার্তা যেতে পারে। ভাবনাতেও স্বার্থপরতা ঢুকে পড়তে পারে।
= সন্তান কী পরবে, কী খাবে, কী বই পড়বে, কী সিনেমা দেখবে, এই সব কিছু আপনি নির্ধারণ করে দিতে না যাওয়াই ভালো। সন্তানের জীবনের পথপ্রদর্শক আপনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তার মতামতের কোনো গুরুত্ব থাকবে না।