ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ভূমিকার জন্য থাই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেন। ওয়াশিংটন বলছে, মুসলিম উইঘুর গোষ্ঠীর ওই সদস্যরা চীনে নিপীড়নের শিকার হবে। রুবিও তার বিবৃতিতে বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ড থেকে ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ঘটনায় দায়ী বর্তমান ও সাবেক থাই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।” মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেই দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

নিষেধাজ্ঞার আওতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও পড়তে পারে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, ওই উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানো হলে তারা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এই উইঘুরদের আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু থাইল্যান্ড চীনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বিবেচনায় করে শেষ পর্যন্ত তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রুবিও বলেন, “চীনে উইঘুরদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে নিপীড়ন চলছে। তাই যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে- তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।”

থাইল্যান্ডের সরকার বলছে, তারা আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দেশটির ওয়াশিংটন দূতাবাস মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ক্যাম্পেইন ফর উইঘুরস’ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, “এটি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সহযোগীদের জন্য কঠোর বার্তা।” তবে, চীন বরাবরই উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটি বলছে, “সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় উইঘুরদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ভূমিকার জন্য থাই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেন। ওয়াশিংটন বলছে, মুসলিম উইঘুর গোষ্ঠীর ওই সদস্যরা চীনে নিপীড়নের শিকার হবে। রুবিও তার বিবৃতিতে বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ড থেকে ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ঘটনায় দায়ী বর্তমান ও সাবেক থাই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।” মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেই দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

নিষেধাজ্ঞার আওতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও পড়তে পারে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, ওই উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানো হলে তারা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এই উইঘুরদের আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু থাইল্যান্ড চীনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বিবেচনায় করে শেষ পর্যন্ত তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রুবিও বলেন, “চীনে উইঘুরদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে নিপীড়ন চলছে। তাই যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে- তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।”

থাইল্যান্ডের সরকার বলছে, তারা আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দেশটির ওয়াশিংটন দূতাবাস মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ক্যাম্পেইন ফর উইঘুরস’ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, “এটি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সহযোগীদের জন্য কঠোর বার্তা।” তবে, চীন বরাবরই উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটি বলছে, “সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় উইঘুরদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।”