ক্রীড়া ডেস্ক: তাসমান সাগর পারের দেশটিতে ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেট ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ওপেনার। টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ কৌশল নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি হয় বলে মনে করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে ইংলিশদের সুবিধা করতে পারার সম্ভাবনা দেখেন না তিনি। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ওপেনারের মতে, সেখানে এমন ঘরানার ক্রিকেট হবে ঝুঁকিপূর্ণ। কয়েক বছর আগে টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা খুবই বাজে কাটছিল ইংল্যান্ডের। তখন ১৭ টেস্টে জয় ছিল কেবল একটি। হারছিল তারা একের পর এক সিরিজ। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দলটি এখন ছুটছে নতুন উচ্চতার দিকে।
আর সেটা সম্ভব হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের সৌজন্যে। তাদের হাত ধরে ২০২২ সাল থেকে নতুন ঘরানার টেস্ট খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ম্যাককালামের ডাক নাম ‘বাজ’ অবলম্বনে ইংলিশদের এই কৌশল পরিচিতি পেয়ে যায় ‘বাজবল’ নামে। টেস্ট ক্রিকেটেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার এই ধরনে গত কয়েক বছরে দারুণ সব সাফল্য পেয়েছে ইংল্যান্ড। পাশাপাশি কিছু হতাশাও সঙ্গী হয়েছে তাদের। যার মধ্যে একটি ঘরের মাঠে সবশেষ অ্যাশেজ জিততে না পারা। সিরিজটি ২-২ ড্র করে অ্যাশেজ ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মুকুট পুনরুদ্ধারের অভিযানে আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া যাবে ইংল্যান্ড। সেখানেও ইতিবাচক মানসিকতার পাশাপাশি আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট খেলার কথা ইংলিশদের। আর তেমনটা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে হচ্ছে ওয়ার্নারের।
ইংল্যান্ডের একশ বলের টুর্নামেন্ট দা হান্ড্রেডে প্রথমবার খেলতে এখন দেশটিতে আছেন ওয়ার্নার। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দলে নিয়েছেন লন্ডন স্পিরিট। ইংল্যান্ডে সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ওয়ার্নার। তখন তাকে সামনের অ্যাশেজে দুই দলের সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞাস করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় কোথায় ভুগবে ইংলিশরা, সেই ধারণা দেন তিনি। “এই মুহূর্তে অস্ট্রেলীয়রাই ফেভারিট। শুধু কন্ডিশন জানার কারণে নয়, তাদের বোলিং বিভাগে ১ হাজার ৪০০ আন্তর্জাতিক বা টেস্ট উইকেট আছে। তারা বিশ্বমানের বোলার, সবসময়ই ঘুরে দাঁড়াবে এবং এটাই ইংল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা।”
পরে ইংল্যান্ডের আলোচিত ‘বাজবল’ কৌশল নিয়েও কথা বলেন ১১২ টেস্ট খেলে ৮ হাজার ৭৮৬ রান করা ওয়ার্নার। তার মতে, ইংলিশদের এই কৌশল অস্ট্রেলিয়ায় কাজে আসবে না। “আমি জানি না, বাজবল মিথ কিনা। তবে অস্ট্রেলিয়ায় বাউন্স ও অন্য সবকিছু বিবেচনায় এবং ইংল্যান্ডে তারা গতবার যে ফিল্ডিং সাজিয়েছিল, তাতে বাজবল কাজে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় এমন ঘরানার ক্রিকেট খেলা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে।” আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজ।