ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
অগ্নিঝরা মার্চ

অসহযোগ চালিয়ে নিতে ঐকমত্য

  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পরিস্থিতি ছিল বিস্ফোরন্মুখ। ১৪ মার্চের এই দিনে এল জনতার আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা।
সেদিন সকালে ন্যাপ নেতা আবদুল ওয়ালী খানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য আওয়ামী লীগ নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সংগ্রাম স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে।” রাতে শেখ মুজিব এক বিবৃতিতে সবাইকে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৩৫ দফা নির্দেশনা জারি করেন। এই দিনে আগের দিনের জারি করা সামরিক ফরমানের প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল করেন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বেসামরিক কর্মচারীরা। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সম্পদ পাচার রোধের অংশ হিসেবে ঢাকার কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসায়। চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ শহরে মিছিল করে। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের এই মিছিলে প্রকম্পিত হয় চট্টগ্রাম শহর।
জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খান অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্যে এদিন শেখ মুজিবুর রহমানকে আহ্বান জানান। এদিকে ১৪ মার্চ করাচিতে জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সমাবেশে এক পাকিস্তান ও দুই অঞ্চলে দুই দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে একটি ‘ফর্মুলা উদ্ভাবনের’ প্রস্তাব দেন। আর ঢাকার পত্রিকাগুলো এদিনে একটি যৌথ সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল- ‘আর সময় নেই’/ ‘Time is Running Out|’। তথ্যসুত্র: পত্র-পত্রিকা

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছিনতাইয়ের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাসায় আসামির ছেলে

অগ্নিঝরা মার্চ

অসহযোগ চালিয়ে নিতে ঐকমত্য

আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পরিস্থিতি ছিল বিস্ফোরন্মুখ। ১৪ মার্চের এই দিনে এল জনতার আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা।
সেদিন সকালে ন্যাপ নেতা আবদুল ওয়ালী খানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য আওয়ামী লীগ নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সংগ্রাম স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে।” রাতে শেখ মুজিব এক বিবৃতিতে সবাইকে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৩৫ দফা নির্দেশনা জারি করেন। এই দিনে আগের দিনের জারি করা সামরিক ফরমানের প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল করেন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বেসামরিক কর্মচারীরা। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সম্পদ পাচার রোধের অংশ হিসেবে ঢাকার কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসায়। চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ শহরে মিছিল করে। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের এই মিছিলে প্রকম্পিত হয় চট্টগ্রাম শহর।
জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খান অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্যে এদিন শেখ মুজিবুর রহমানকে আহ্বান জানান। এদিকে ১৪ মার্চ করাচিতে জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সমাবেশে এক পাকিস্তান ও দুই অঞ্চলে দুই দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে একটি ‘ফর্মুলা উদ্ভাবনের’ প্রস্তাব দেন। আর ঢাকার পত্রিকাগুলো এদিনে একটি যৌথ সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল- ‘আর সময় নেই’/ ‘Time is Running Out|’। তথ্যসুত্র: পত্র-পত্রিকা