ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

আমাদের ১৬ কোটি মানুষ তালেবানদের কয়েক বছর খাওয়াতে পারেন: ডা. জাফরুল্লাহ

  • আপডেট সময় : ০১:০১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তালেবানদের সাহায্য করতে হবে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, তালেবানরা মুক্তিযোদ্ধা। তারা ২০ বছর যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাদের সালাম করতে হবে। শুধু সালাম করলে হবে না, দায়িত্বও আছে। সেখানে খাদ্য সংকটের কথা উঠেছে। এখানের ১৬ কোটি মানুষ, তালেবানদের কয়েক বছর খাওয়াতে পারেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নয়: সম্প্রীতি, ইনসাফ ও সহনশীলতাই ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ এই সভার আয়োজন করে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভোট ডাকাতির চেয়ে বড় জঙ্গি নেই। যাদের দাঁড়ি আছে, টুপি পরে তাদের জঙ্গি বলি। এটা অন্যায়, ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজি বন্ধের জন্য আমাদেরকে বুদ্ধিমান হতে হবে। তিনি বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার নামই হলো জিহাদ। মানুষের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। অধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অধিকার বঞ্চিত মানুষের ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই জিহাদ। জিহাদ বললে আমাদের লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ভাবতে হবে আমি ন্যায়ের পক্ষে আছি। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার ছিল গণতন্ত্র, সামান্য এবং জনগণের অধিকার। সবই ইসলামের কথা বলেছি। মানুষের কথায় বলেছি, ন্যায়ের কথায় বলেছি। আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভূলন্ঠিত, সে জন্য সংগ্রামে যেতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমি নামাজ পড়ি না বলে আমাকে মুরদাদ বলার অধিকার আপনাদের নেই। এটা আল্লাহ সিদ্ধান্ত নেবেন। নামাজ পড়ি না বলে আমাকে বেত মারার অধিকার আপনার নেই, খোদা বিচার করবেন। আজকে আলেমদের নামে কেন বলাৎকারের অভিযোগ আসবে? অন্যরা করলে দোষ হয় না, কিন্তু আপনারা করলে দোষ হবে। কারণ মানুষ আপনাদের সম্মান করে। আপনারা ছোট দোষ করলে দোষটা বড় হয়ে যায়। এ সময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ( অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ড. আল্লামা সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমাদের ১৬ কোটি মানুষ তালেবানদের কয়েক বছর খাওয়াতে পারেন: ডা. জাফরুল্লাহ

আপডেট সময় : ০১:০১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : তালেবানদের সাহায্য করতে হবে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, তালেবানরা মুক্তিযোদ্ধা। তারা ২০ বছর যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাদের সালাম করতে হবে। শুধু সালাম করলে হবে না, দায়িত্বও আছে। সেখানে খাদ্য সংকটের কথা উঠেছে। এখানের ১৬ কোটি মানুষ, তালেবানদের কয়েক বছর খাওয়াতে পারেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নয়: সম্প্রীতি, ইনসাফ ও সহনশীলতাই ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ এই সভার আয়োজন করে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভোট ডাকাতির চেয়ে বড় জঙ্গি নেই। যাদের দাঁড়ি আছে, টুপি পরে তাদের জঙ্গি বলি। এটা অন্যায়, ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজি বন্ধের জন্য আমাদেরকে বুদ্ধিমান হতে হবে। তিনি বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার নামই হলো জিহাদ। মানুষের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম। অধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামই জিহাদ। অধিকার বঞ্চিত মানুষের ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই জিহাদ। জিহাদ বললে আমাদের লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ভাবতে হবে আমি ন্যায়ের পক্ষে আছি। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার ছিল গণতন্ত্র, সামান্য এবং জনগণের অধিকার। সবই ইসলামের কথা বলেছি। মানুষের কথায় বলেছি, ন্যায়ের কথায় বলেছি। আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভূলন্ঠিত, সে জন্য সংগ্রামে যেতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমি নামাজ পড়ি না বলে আমাকে মুরদাদ বলার অধিকার আপনাদের নেই। এটা আল্লাহ সিদ্ধান্ত নেবেন। নামাজ পড়ি না বলে আমাকে বেত মারার অধিকার আপনার নেই, খোদা বিচার করবেন। আজকে আলেমদের নামে কেন বলাৎকারের অভিযোগ আসবে? অন্যরা করলে দোষ হয় না, কিন্তু আপনারা করলে দোষ হবে। কারণ মানুষ আপনাদের সম্মান করে। আপনারা ছোট দোষ করলে দোষটা বড় হয়ে যায়। এ সময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ( অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ড. আল্লামা সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।