ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

কুরস্কে রুশ বাহিনীর বড় অগ্রগতি, পিছু হটছে ইউক্রেনীয়রা

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের সেনাদের পশ্চিম রাশিয়া থেকে পিছু হটাতে অভিযান চালিয়ে তারা কুরস্ক অঞ্চলে ১০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা এবং ১২টি বসতি পুনর্দখল করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মস্কোর পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। রাশিয়ার এ অগ্রগতির ফলে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে ঘিরে ফেলার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনা চলছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর গ্রুপের সেনা ইউনিটগুলো অভিযান চালিয়ে ১২টি বসতি মুক্ত করেছে… এবং কুরস্ক অঞ্চলের ১০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুর্নদখল করেছে। মন্ত্রণালয় মুক্ত করা বসতিগুলোর নাম উল্লেখ করে বলেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে আগ্রোনম, বোগদানভকা, বন্ডারেভকা, দিমিত্রিউকভ, জাজুলেভকা, ইভাশকভস্কি, কোলমাকভ, কুবাটকিন, মার্টিনভকা, মিখাইলভকা, প্রাভদা এবং ইউজনি।

ফ্রন্টলাইনে প্রতিবেদন তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্রের কোনো প্রতিবেদন স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি। গত আগস্টে ইউক্রেনের সেনারা কুরস্ক অঞ্চলের অন্তত ১ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছিল। ইউক্রেন বলেছিল, ভবিষ্যতের আলোচনায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করতেই এ অভিযান চালানো হয়। ১৯৪১ সালে নাৎসি বাহিনীর সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পর এটিই রাশিয়ার ভূখণ্ডে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইউক্রেন রাশিয়ার ভূমি দখল করে ক্রেমলিনকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ রাশিয়া সেখানে অন্তত ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনর্দখল করে। সম্প্রতি তারা এক বড় ধরনের প্যারাট্রুপার অভিযান চালিয়েছে, যা ইউক্রেনের সরবরাহ লাইন এবং পশ্চাদপসরণের সম্ভাব্য পথ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল ওলেকসান্দ্র সিরস্কি সোমবার বলেছেন, রাশিয়ার সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণের পরও কুরস্কে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনারা ঘিরে ফেলার ঝুঁকিতে নেই। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী পিছু হটছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।সিরস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো প্রতিরক্ষার জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়ার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কুরস্কে রাশিয়ার অগ্রগতি এবং ইউক্রেনের অভ্যন্তরে তাদের অভিযান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন—এসব বিষয় ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যেতে পারে এবং ট্রাম্প ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সপ্তাহান্তে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী সুদঝা শহরের কাছে একটি গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে কয়েক মাইল এগিয়ে গিয়ে কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হঠাৎ আক্রমণ করার চেষ্টা করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কুরস্কে রুশ বাহিনীর বড় অগ্রগতি, পিছু হটছে ইউক্রেনীয়রা

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের সেনাদের পশ্চিম রাশিয়া থেকে পিছু হটাতে অভিযান চালিয়ে তারা কুরস্ক অঞ্চলে ১০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা এবং ১২টি বসতি পুনর্দখল করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মস্কোর পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে। রাশিয়ার এ অগ্রগতির ফলে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে ঘিরে ফেলার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ ঘটনা ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনা চলছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর গ্রুপের সেনা ইউনিটগুলো অভিযান চালিয়ে ১২টি বসতি মুক্ত করেছে… এবং কুরস্ক অঞ্চলের ১০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুর্নদখল করেছে। মন্ত্রণালয় মুক্ত করা বসতিগুলোর নাম উল্লেখ করে বলেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে আগ্রোনম, বোগদানভকা, বন্ডারেভকা, দিমিত্রিউকভ, জাজুলেভকা, ইভাশকভস্কি, কোলমাকভ, কুবাটকিন, মার্টিনভকা, মিখাইলভকা, প্রাভদা এবং ইউজনি।

ফ্রন্টলাইনে প্রতিবেদন তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্রের কোনো প্রতিবেদন স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি। গত আগস্টে ইউক্রেনের সেনারা কুরস্ক অঞ্চলের অন্তত ১ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছিল। ইউক্রেন বলেছিল, ভবিষ্যতের আলোচনায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করতেই এ অভিযান চালানো হয়। ১৯৪১ সালে নাৎসি বাহিনীর সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পর এটিই রাশিয়ার ভূখণ্ডে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইউক্রেন রাশিয়ার ভূমি দখল করে ক্রেমলিনকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ রাশিয়া সেখানে অন্তত ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনর্দখল করে। সম্প্রতি তারা এক বড় ধরনের প্যারাট্রুপার অভিযান চালিয়েছে, যা ইউক্রেনের সরবরাহ লাইন এবং পশ্চাদপসরণের সম্ভাব্য পথ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল ওলেকসান্দ্র সিরস্কি সোমবার বলেছেন, রাশিয়ার সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণের পরও কুরস্কে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনারা ঘিরে ফেলার ঝুঁকিতে নেই। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী পিছু হটছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।সিরস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো প্রতিরক্ষার জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়ার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কুরস্কে রাশিয়ার অগ্রগতি এবং ইউক্রেনের অভ্যন্তরে তাদের অভিযান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন—এসব বিষয় ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যেতে পারে এবং ট্রাম্প ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সপ্তাহান্তে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী সুদঝা শহরের কাছে একটি গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে কয়েক মাইল এগিয়ে গিয়ে কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হঠাৎ আক্রমণ করার চেষ্টা করে।