ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
আজ সৌদি যাচ্ছেন জেলেনস্কি

কুরস্কে এগোচ্ছে রুশ সেনারা, সংকটে ইউক্রেনীয় বাহিনী

  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

কুরস্কে ট্যাংক নিয়ে ইউক্রেনীয় সেনা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিদেশের খবর ডেস্ক : রাশিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল সোমবার কুরস্ক অঞ্চলে আরও অগ্রসর হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর পিছনে অবস্থান নিয়ে একটি বড় ধরনের ঘেরাও অপারেশন শুরু করেছে। এই অপারেশনের লক্ষ্য হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে হয় পশ্চাদপসরণ অথবা আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। রাশিয়ার এই অগ্রগতি এমন সময়ে ঘটেছে, যখন ইউক্রেন সৌদি আরবে মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১ হাজর৩০০ বর্গকিলোমিটার (৫০০ বর্গমাইল) এলাকা দখল করে নেয়। ইউক্রেনের দাবি, ভবিষ্যৎ আলোচনায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলের অন্তত ৮০০ বর্গকিলোমিটার (৩০০ বর্গমাইল) এলাকা পুনর্দখল করে নেয়।

গত কয়েক দিনে রাশিয়া একাধিক দিক থেকে বড় ধরনের প্যারাট্রুপার আক্রমণ চালিয়েছে, যা ইউক্রেনের সরবরাহ লাইন এবং পশ্চাদপসরণের সম্ভাব্য পথ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি তৈরি করেছে। রাশিয়ার সামরিক ব্লগ ‘টু মেজরস’ জানায়, রুশবাহিনী ইভাশকভস্কি বসতি দখল করে নিয়েছে এবং কমপক্ষে সাতটি দিক থেকে কুরস্কের তথাকথিত ‘কড়াই’ এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইউরি পোডোলিয়াকা বলেছেন, রাশিয়ার অগ্রগতি এত দ্রুত ঘটছে যে তিনি ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

তিনি জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী কুস্কের একাধিক এলাকায় আটকা পড়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ ব্লগার রাইবার বলেছে, গত চার দিনে রাশিয়ার বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে যতটা এলাকা দখল করেছে, তা কখনও কখনও কয়েক মাসেও সম্ভব হয়নি। তিনি আরও যোগ করেন, ফ্রন্ট লাইন ভেঙে পড়েছে এবং রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনীয় সীমান্তের ভেতরে ঢুকে প্রধান সড়কগুলো বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। এটি কুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে যাওয়ার পথ।

রাশিয়ার এই আক্রমণ ইউক্রেনের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে যখন বসন্তের তাপমাত্রায় রাস্তাগুলো কাদায় পরিণত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কি কুরস্ক থেকে পিছু হটতে হবে? আর যদি হটে, তবে কি তারা রাশিয়ার তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যে বিশৃঙ্খলভাবে সীমান্তের দিকে ছুটতে বাধ্য হবে? রবিবার রাশিয়ার বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে আরও তিনটি বসতি পুনর্দখল করে নেয়।

বিশেষ বাহিনী সুদঝা শহরের কাছে একটি গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে মাইলজুড়ে এগিয়ে গিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবাক করে দেয়। ২০২৪ সালে রাশিয়ার অগ্রগতি এবং ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া নীতিতে পরিবর্তন ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যেতে পারে এবং ট্রাম্প ইউরোপের প্রতি পিঠ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক বিশ্ব মিডিয়ার সামনে তিক্ততায় পরিণত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য ও গোয়েন্দা তথ্য বন্ধ করে দেয়।

জেলেনস্কি রবিবার জানান, তিনি কুরস্ক অপারেশন সম্পর্কে তার কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কির কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছেন। তবে তিনি আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ রবিবার সন্ধ্যায় তাদের দৈনিক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার বাহিনীর ২৭টি আক্রমণ প্রতিহত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে সৌদিতে জেলেনস্কি

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরুর আগে, সৌদি আরব সফরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) রিয়াদ যান জেলেনস্কি। সেখানে তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মোহাম্মদ বিন সালমান ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিভিন্ন মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছেন। যেমন: বন্দি বিনিময়ে সহায়তা এবং গত মাসে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার আয়োজন।

আজ মঙ্গলবার আলোচনায় বসবেন মার্কিন এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ওভাল অফিসে জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এটি হবে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। আলোচনা ইউক্রেনীয় খনিজ চুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ করার উপায় নিয়ে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলে তার প্রধান সচিব, পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা থাকবে।

একসময় ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, তার যুদ্ধকালীন নীতিগুলো নাটকীয়ভাবে বদলে ফেলেছে। যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির জন্য মস্কোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে এবং কিয়েভের জন্য সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করেছে। এক পোস্টে লিখেছেন জেলেনস্কি, আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা সৃজনশীল আলোচনার জন্য পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা এবং সম্মত হওয়ার আশা করছি।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার উদ্দেশ্য হল একটি শান্তিচুক্তির জন্য ফ্রেমওয়ার্ক স্থাপন এবং একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির কাঠামো তৈরি করা। অবশ্য মস্কো সাময়িক যুদ্ধবিরতির ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তার মতে, এটি কিয়েভকে সময় কিনে দেওয়ার এবং তার সামরিক পতন রোধ করার প্রচেষ্টা মাত্র।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজ সৌদি যাচ্ছেন জেলেনস্কি

কুরস্কে এগোচ্ছে রুশ সেনারা, সংকটে ইউক্রেনীয় বাহিনী

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : রাশিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল সোমবার কুরস্ক অঞ্চলে আরও অগ্রসর হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর পিছনে অবস্থান নিয়ে একটি বড় ধরনের ঘেরাও অপারেশন শুরু করেছে। এই অপারেশনের লক্ষ্য হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে হয় পশ্চাদপসরণ অথবা আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। রাশিয়ার এই অগ্রগতি এমন সময়ে ঘটেছে, যখন ইউক্রেন সৌদি আরবে মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১ হাজর৩০০ বর্গকিলোমিটার (৫০০ বর্গমাইল) এলাকা দখল করে নেয়। ইউক্রেনের দাবি, ভবিষ্যৎ আলোচনায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলের অন্তত ৮০০ বর্গকিলোমিটার (৩০০ বর্গমাইল) এলাকা পুনর্দখল করে নেয়।

গত কয়েক দিনে রাশিয়া একাধিক দিক থেকে বড় ধরনের প্যারাট্রুপার আক্রমণ চালিয়েছে, যা ইউক্রেনের সরবরাহ লাইন এবং পশ্চাদপসরণের সম্ভাব্য পথ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি তৈরি করেছে। রাশিয়ার সামরিক ব্লগ ‘টু মেজরস’ জানায়, রুশবাহিনী ইভাশকভস্কি বসতি দখল করে নিয়েছে এবং কমপক্ষে সাতটি দিক থেকে কুরস্কের তথাকথিত ‘কড়াই’ এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইউরি পোডোলিয়াকা বলেছেন, রাশিয়ার অগ্রগতি এত দ্রুত ঘটছে যে তিনি ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

তিনি জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী কুস্কের একাধিক এলাকায় আটকা পড়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ ব্লগার রাইবার বলেছে, গত চার দিনে রাশিয়ার বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে যতটা এলাকা দখল করেছে, তা কখনও কখনও কয়েক মাসেও সম্ভব হয়নি। তিনি আরও যোগ করেন, ফ্রন্ট লাইন ভেঙে পড়েছে এবং রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনীয় সীমান্তের ভেতরে ঢুকে প্রধান সড়কগুলো বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। এটি কুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে যাওয়ার পথ।

রাশিয়ার এই আক্রমণ ইউক্রেনের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে যখন বসন্তের তাপমাত্রায় রাস্তাগুলো কাদায় পরিণত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কি কুরস্ক থেকে পিছু হটতে হবে? আর যদি হটে, তবে কি তারা রাশিয়ার তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যে বিশৃঙ্খলভাবে সীমান্তের দিকে ছুটতে বাধ্য হবে? রবিবার রাশিয়ার বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে আরও তিনটি বসতি পুনর্দখল করে নেয়।

বিশেষ বাহিনী সুদঝা শহরের কাছে একটি গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে মাইলজুড়ে এগিয়ে গিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবাক করে দেয়। ২০২৪ সালে রাশিয়ার অগ্রগতি এবং ট্রাম্পের ইউক্রেন ও রাশিয়া নীতিতে পরিবর্তন ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যেতে পারে এবং ট্রাম্প ইউরোপের প্রতি পিঠ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক বিশ্ব মিডিয়ার সামনে তিক্ততায় পরিণত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য ও গোয়েন্দা তথ্য বন্ধ করে দেয়।

জেলেনস্কি রবিবার জানান, তিনি কুরস্ক অপারেশন সম্পর্কে তার কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কির কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছেন। তবে তিনি আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ রবিবার সন্ধ্যায় তাদের দৈনিক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার বাহিনীর ২৭টি আক্রমণ প্রতিহত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে সৌদিতে জেলেনস্কি

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরুর আগে, সৌদি আরব সফরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) রিয়াদ যান জেলেনস্কি। সেখানে তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মোহাম্মদ বিন সালমান ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিভিন্ন মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছেন। যেমন: বন্দি বিনিময়ে সহায়তা এবং গত মাসে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার আয়োজন।

আজ মঙ্গলবার আলোচনায় বসবেন মার্কিন এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ওভাল অফিসে জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এটি হবে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। আলোচনা ইউক্রেনীয় খনিজ চুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ করার উপায় নিয়ে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলে তার প্রধান সচিব, পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা থাকবে।

একসময় ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, তার যুদ্ধকালীন নীতিগুলো নাটকীয়ভাবে বদলে ফেলেছে। যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির জন্য মস্কোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে এবং কিয়েভের জন্য সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করেছে। এক পোস্টে লিখেছেন জেলেনস্কি, আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা সৃজনশীল আলোচনার জন্য পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা এবং সম্মত হওয়ার আশা করছি।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আলোচনার উদ্দেশ্য হল একটি শান্তিচুক্তির জন্য ফ্রেমওয়ার্ক স্থাপন এবং একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির কাঠামো তৈরি করা। অবশ্য মস্কো সাময়িক যুদ্ধবিরতির ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তার মতে, এটি কিয়েভকে সময় কিনে দেওয়ার এবং তার সামরিক পতন রোধ করার প্রচেষ্টা মাত্র।