ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতি পরবর্তী আলোচনার জন্য প্রস্তুত হামাস ও ইসরায়েল

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

বিধ্বস্ত গাজার ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে হামাস ও ইসরায়েল। শনিবার (৮ মার্চ) পৃথক বক্তব্যে এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনার ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে এ কথার ব্যাখ্যা করেনি তারা।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও আলোচনার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীদের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছে তেল আবিব। আলোচনা সামনে আগানোর জন্য সোমবার দোহাতে প্রতিনিধিদল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় যেকোনও দ্রব্য প্রবেশে সম্পূর্ণ অবরোধ দিয়ে বসে ইসরায়েল।গাজায় যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তির আলোচনা শুরু না করেই তারা দাবি করা শুরু করে, বাকি সব জিম্মিকে অবিলম্বে ছেড়ে না দিলে তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সংঘর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত আছে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই জিম্মিকে ছেড়ে দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিশালা থেকে প্রায় দুহাজার ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, হামাসের হাতে থাকা ৫৯ জিম্মির মধ্যে অর্ধেকও আর বেঁচে নেই।

হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতারের কর্মকর্তারাও এই আলোচনায় যুক্ত রয়েছেন।

হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে আমরা প্রস্তুত। আমরা আহ্বান জানাই, গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে বরং সহায়তা জোরদার করা হোক।

মিসরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর আরেক বিবৃতিতে হামাস জানায়, একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা পরিচালনায় স্বাধীন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছে তারা।

এর আগে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন ও পেশাদার কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার কাজ করছেন তারা।

আরব লীগের সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা পেশ করার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা পুনর্গঠনের মার্কিন প্রস্তাবের বদলে মিসরের প্রস্তাব পছন্দ করেছে আরব দেশগুলো।

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের কাছে থাকা বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে। এরপর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি টানার কথা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যুদ্ধবিরতি পরবর্তী আলোচনার জন্য প্রস্তুত হামাস ও ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে হামাস ও ইসরায়েল। শনিবার (৮ মার্চ) পৃথক বক্তব্যে এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনার ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে এ কথার ব্যাখ্যা করেনি তারা।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও আলোচনার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীদের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছে তেল আবিব। আলোচনা সামনে আগানোর জন্য সোমবার দোহাতে প্রতিনিধিদল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় যেকোনও দ্রব্য প্রবেশে সম্পূর্ণ অবরোধ দিয়ে বসে ইসরায়েল।গাজায় যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তির আলোচনা শুরু না করেই তারা দাবি করা শুরু করে, বাকি সব জিম্মিকে অবিলম্বে ছেড়ে না দিলে তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সংঘর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত আছে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই জিম্মিকে ছেড়ে দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিশালা থেকে প্রায় দুহাজার ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, হামাসের হাতে থাকা ৫৯ জিম্মির মধ্যে অর্ধেকও আর বেঁচে নেই।

হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতারের কর্মকর্তারাও এই আলোচনায় যুক্ত রয়েছেন।

হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে আমরা প্রস্তুত। আমরা আহ্বান জানাই, গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে বরং সহায়তা জোরদার করা হোক।

মিসরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর আরেক বিবৃতিতে হামাস জানায়, একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা পরিচালনায় স্বাধীন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছে তারা।

এর আগে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন ও পেশাদার কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার কাজ করছেন তারা।

আরব লীগের সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা পেশ করার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা পুনর্গঠনের মার্কিন প্রস্তাবের বদলে মিসরের প্রস্তাব পছন্দ করেছে আরব দেশগুলো।

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের কাছে থাকা বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে। এরপর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি টানার কথা রয়েছে।