ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

সব পুরুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেবে পোল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেনের মিত্র দেশ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক ঘোষণা করেছেন, তার দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে ব্যাপক পরিসরে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ লক্ষে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। খবর বিবিসির।

পোল্যান্ডের পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে টাস্ক বলেন, “এবছরের শেষেই আমরা একটি মডেল প্রস্তুত করার চেষ্টা করব। যাতে পোল্যান্ডের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যুদ্ধকালে প্রশিক্ষিত থাকতে পারে এবং সম্ভাব্য হুমকির ক্ষেত্রে এই রিজার্ভ বাহিনী সমতুল্য এবং পর্যাপ্ত হয়।” টাস্ক জানান, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৮ লাখ সেনা আছে। রাশিয়ার আছে ১৩ লাখ সেনা।

আর তিনি রিজার্ভ সেনাসহ পোলিশ সেনাবাহিনীর আকার বাড়াতে চান, যে সংখ্যা দাঁড়াবে এখনকার প্রায় ২ লাখ থেকে ৫ লাখে। তিনি বলেন, “আমরা পোল্যান্ডে ৫ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছি, যার মধ্যে থাকবে রিজার্ভ সেনাও। আমি এ বিষয়ে অবিরাম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি। মনে হচ্ছে যদি আমরা বিচক্ষণভাবে বিষয়গুলো সংগঠিত করি তাহলে আমাদেরকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

“এর মানে হচ্ছে, রিজার্ভ সেনাদের পাশাপাশি যারা কখনও পুরোপুরিভাবে সেনাবাহিনীতে যায়নি এবং যুদ্ধের সময় দক্ষ সেনা ছিল না তাদেরকেও নিবিড় প্রশিক্ষণ দিতে হবে”, বলেন তিনি। এ ছাড়া নারীদেরও সামরিক প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। যদিও এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যুদ্ধ এখনো অনেকাংশেই পুরুষদের বিষয়।” বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পোলিশদের মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

পোল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিকই মনে করে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়াটা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রয়োজন। টাস্ক জানান, পোল্যান্ড বর্তমানে জিডিপির ৪.৭ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে, যা ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এই ব্যয় বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে বলেও মত দেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসছে দেশ

সব পুরুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেবে পোল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৮:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেনের মিত্র দেশ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক ঘোষণা করেছেন, তার দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে ব্যাপক পরিসরে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ লক্ষে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। খবর বিবিসির।

পোল্যান্ডের পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে টাস্ক বলেন, “এবছরের শেষেই আমরা একটি মডেল প্রস্তুত করার চেষ্টা করব। যাতে পোল্যান্ডের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যুদ্ধকালে প্রশিক্ষিত থাকতে পারে এবং সম্ভাব্য হুমকির ক্ষেত্রে এই রিজার্ভ বাহিনী সমতুল্য এবং পর্যাপ্ত হয়।” টাস্ক জানান, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৮ লাখ সেনা আছে। রাশিয়ার আছে ১৩ লাখ সেনা।

আর তিনি রিজার্ভ সেনাসহ পোলিশ সেনাবাহিনীর আকার বাড়াতে চান, যে সংখ্যা দাঁড়াবে এখনকার প্রায় ২ লাখ থেকে ৫ লাখে। তিনি বলেন, “আমরা পোল্যান্ডে ৫ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছি, যার মধ্যে থাকবে রিজার্ভ সেনাও। আমি এ বিষয়ে অবিরাম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি। মনে হচ্ছে যদি আমরা বিচক্ষণভাবে বিষয়গুলো সংগঠিত করি তাহলে আমাদেরকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

“এর মানে হচ্ছে, রিজার্ভ সেনাদের পাশাপাশি যারা কখনও পুরোপুরিভাবে সেনাবাহিনীতে যায়নি এবং যুদ্ধের সময় দক্ষ সেনা ছিল না তাদেরকেও নিবিড় প্রশিক্ষণ দিতে হবে”, বলেন তিনি। এ ছাড়া নারীদেরও সামরিক প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। যদিও এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যুদ্ধ এখনো অনেকাংশেই পুরুষদের বিষয়।” বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পোলিশদের মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

পোল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিকই মনে করে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়াটা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রয়োজন। টাস্ক জানান, পোল্যান্ড বর্তমানে জিডিপির ৪.৭ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে, যা ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এই ব্যয় বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে বলেও মত দেন তিনি।