ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের হেলিকপ্টারে গুলি

  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : দক্ষিণ সুদানে জাতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টার সময় গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশন (ইউওএনএমআইএসএস) থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের একটি হেলিকপ্টারে গুলি চালানোর ঘটনায় একজন ক্রু নিহত হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, আপার নিল রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার সময় একজন আহত দক্ষিণ সুদানী জেনারেল এবং আরও বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের হেলিকপ্টারে আক্রমণ ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে। খবর বিবিসির। দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির বলেছেন, আক্রমণের পরে দ্বিতীয় একটি হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় অবতরণ করে এবং এতে থাকা সকলেই নিহত হন। তবে জাতিসংঘ মিশন জানিয়েছে, তাদের দুটি বিমানই মালাকাল শহরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। তথ্যমন্ত্রী মাইকেল মাকুয়েইকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, মোট ২৭ জন দক্ষিণ সুদানী সেনা নিহত হয়েছে।

আপার নিলে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লড়াই প্রেসিডেন্ট কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যে ভঙ্গুর শান্তি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২০১৩ সালে তাদের মধ্যে বিভেদের ফলে পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যাতে চার লাখ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ২০১৮ সালে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু তখন থেকেই পরিস্থিতি ভয়াবহ। আপার নিলে চলমান লড়াই সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতিগত মিলিশিয়া হোয়াইট আর্মির মধ্যে, যারা যুদ্ধের সময় মাচারের মিত্র ছিল। হোয়াইট আর্মি এবং দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে চুক্তির মধ্যে জাতিসংঘ মিশন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে আহত সৈন্যদের সরিয়ে নিচ্ছে। মিশনের প্রধান নিকোলাস হেসম এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার মিশনের কর্মীদের ওপর আক্রমণ অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এটি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।

আমরা আমাদের সহকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে দুঃখিত এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই। “আমরা যাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলাম তাদের হত্যার জন্যও আমরা দুঃখিত, বিশেষ করে যখন নিরাপদ পথের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল।” বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট কির বলেছেন, আক্রমণে নিহত সেনা জেনারেল হলেন জেনারেল মাজুর ডাক, যিনি আপার নিল অঞ্চলের নাসিরে অবস্থানরত বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। লড়াইয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে দক্ষিণ সুদান যুদ্ধে ফিরে আসতে পারে। তেলমন্ত্রী এবং একজন উচ্চপদস্থ সেনা জেনারেলসহ মাচারের বেশ কয়েকজন মিত্রকে এই সপ্তাহের শুরুতে আটক করা হয়েছিল। শুক্রবারের হামলার পর জাতিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কির।

বলেন, “আমি বারবার বলেছি যে আমাদের দেশ আবার যুদ্ধে যাবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না। আমি যে সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছি, সেই সরকারই এই সংকট মোকাবেলা করবে।” ২০১১ সালে সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দক্ষিণ সুদান বিশ্বের নবীনতম একটি দেশ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসছে দেশ

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের হেলিকপ্টারে গুলি

আপডেট সময় : ০৮:১৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : দক্ষিণ সুদানে জাতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টার সময় গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ মিশন (ইউওএনএমআইএসএস) থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের একটি হেলিকপ্টারে গুলি চালানোর ঘটনায় একজন ক্রু নিহত হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, আপার নিল রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার সময় একজন আহত দক্ষিণ সুদানী জেনারেল এবং আরও বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের হেলিকপ্টারে আক্রমণ ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে। খবর বিবিসির। দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির বলেছেন, আক্রমণের পরে দ্বিতীয় একটি হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় অবতরণ করে এবং এতে থাকা সকলেই নিহত হন। তবে জাতিসংঘ মিশন জানিয়েছে, তাদের দুটি বিমানই মালাকাল শহরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। তথ্যমন্ত্রী মাইকেল মাকুয়েইকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, মোট ২৭ জন দক্ষিণ সুদানী সেনা নিহত হয়েছে।

আপার নিলে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লড়াই প্রেসিডেন্ট কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যে ভঙ্গুর শান্তি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২০১৩ সালে তাদের মধ্যে বিভেদের ফলে পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যাতে চার লাখ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ২০১৮ সালে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু তখন থেকেই পরিস্থিতি ভয়াবহ। আপার নিলে চলমান লড়াই সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতিগত মিলিশিয়া হোয়াইট আর্মির মধ্যে, যারা যুদ্ধের সময় মাচারের মিত্র ছিল। হোয়াইট আর্মি এবং দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে চুক্তির মধ্যে জাতিসংঘ মিশন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে আহত সৈন্যদের সরিয়ে নিচ্ছে। মিশনের প্রধান নিকোলাস হেসম এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার মিশনের কর্মীদের ওপর আক্রমণ অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এটি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।

আমরা আমাদের সহকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে দুঃখিত এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই। “আমরা যাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলাম তাদের হত্যার জন্যও আমরা দুঃখিত, বিশেষ করে যখন নিরাপদ পথের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল।” বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট কির বলেছেন, আক্রমণে নিহত সেনা জেনারেল হলেন জেনারেল মাজুর ডাক, যিনি আপার নিল অঞ্চলের নাসিরে অবস্থানরত বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। লড়াইয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে দক্ষিণ সুদান যুদ্ধে ফিরে আসতে পারে। তেলমন্ত্রী এবং একজন উচ্চপদস্থ সেনা জেনারেলসহ মাচারের বেশ কয়েকজন মিত্রকে এই সপ্তাহের শুরুতে আটক করা হয়েছিল। শুক্রবারের হামলার পর জাতিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কির।

বলেন, “আমি বারবার বলেছি যে আমাদের দেশ আবার যুদ্ধে যাবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না। আমি যে সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছি, সেই সরকারই এই সংকট মোকাবেলা করবে।” ২০১১ সালে সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দক্ষিণ সুদান বিশ্বের নবীনতম একটি দেশ।