ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

এখনো কেন নারী নিপীড়ন, প্রশ্ন সেলিমা রহমানের

  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল শোভাযাত্রার আয়োজন করে-ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ‘মব জাস্টিসের’ নামে যে অরাজকতা চলছে, তা ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

তার ভাষ্যে, ৫ আগস্টের বিপ্লবে আমাদের যে তরুণ সমাজ তাদের বুকের রক্ত দিয়ে ছাত্র-জনতা- এই যে স্বাধীনতা এসেছে, যেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে; সেইখানে কেন এখনও নারী ধর্ষণ হচ্ছে, বাসে হচ্ছে; পথেঘাটে নারীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। মাগুরার কাহিনী দেখেন, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে।

এখানে মনে হয় কোনো একটা গোষ্ঠী যেটা বলছে- মব জাস্টিস.. হোয়াট ইজ মব জাস্টিস, কীসের মব জাস্টিস? আপনার মিডিয়াতে জানিয়ে..কারা এটা করছে। সরকার কেন চুপচাপ? সরকার কেন কথা বলছে না?

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে নয়া পল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, যে সরকার- আমরা জানি ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশ্ববিখ্যাত নন্দিত নেতা। আমরা তার কাছে আশা করেছিলাম, এই সময়ে কঠোর হস্তে যারা বিভিন্ন অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, দেশকে আজকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে-তাদের ওপর কঠিন হবেন এবং তাদের শাস্তি দেবেন।

সরকারকে বলতে চাই, সমাজে যে অস্থিরতা-অস্থিতিশীলতা, সমাজে যে মব জাস্টিস, সমাজে যে নারী ধর্ষণ… এটা যদি বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছিল, সেই স্বপ্ন আমাদের পূরণ হবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন মহিলা দলের শোভাযাত্রা-সমাবেশ ঘিরে পুলিশের যে ভূমিকা ছিল, সেই প্রসঙ্গে সেলিমা বলেন, নারীরা আজকে মুক্ত…অন্তত পুলিশ দিয়ে আমরা এখন ঘেরা নই। যেখানে আমার বোনেরা মিছিল করতে পারতো না, কোনো কিছুই করতে পারতো না। সেই অবস্থা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে সেলিমা বলেন, তোমরা এখন দল করেছো, আমরা স্বাগত জানাই। আজকাল ছাত্রজনতা বলে, বৈষম্যবিরোধী বলে যে কেউ দুইজন-তিনজন করে বিভিন্ন জেলায় তারা বিভিন্ন অফিস-আদালতে গিয়ে বসে থাকছে, তারা ভাগ চাইছে।

এখন তোমাদের উচিত- তোমরা তাদের সাথে কথা বলে তাদেরকে শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে নিয়ে আসো।

নারীদের সচেতন হতে হবে: সেলিমা রহমান বলেন, আজকে নারীদের ভয়েস, ওম্যান ভয়েস একযোগে উচ্চারিত হতে হবে। নারীদের বলব, পরিবারের সদস্যদের বলব, বিশেষ করে গণমাধ্যমের ভাইয়েরা এখানে আছেন- তাদেরসহ সকলকে আজকে সজাগ হতে হবে। পরিবারের যে মূল্যবোধ ছিল- বড়কে সম্মান করা, শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, মা-বাবাকে সম্মান করা- এগুলোর এখন কোনোটাই বিরাজ নেই। সম্মান-শ্রদ্ধার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

আমি বলতে চাই বোনদের, আপনাদের সচেতন হতে হবে। আপনার অধিকার কোনটা, আপনার কোনটা সমতা- সেটা আপনাকে বুঝতে হবে এবং আপনাদেরকে নিজ পরিবারে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমাদের পরিবর্তন আসবে সমাজে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর একটি শোভাযাত্রা লী কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁর মোড় হয়ে আবার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসছে দেশ

এখনো কেন নারী নিপীড়ন, প্রশ্ন সেলিমা রহমানের

আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ‘মব জাস্টিসের’ নামে যে অরাজকতা চলছে, তা ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

তার ভাষ্যে, ৫ আগস্টের বিপ্লবে আমাদের যে তরুণ সমাজ তাদের বুকের রক্ত দিয়ে ছাত্র-জনতা- এই যে স্বাধীনতা এসেছে, যেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে; সেইখানে কেন এখনও নারী ধর্ষণ হচ্ছে, বাসে হচ্ছে; পথেঘাটে নারীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। মাগুরার কাহিনী দেখেন, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে।

এখানে মনে হয় কোনো একটা গোষ্ঠী যেটা বলছে- মব জাস্টিস.. হোয়াট ইজ মব জাস্টিস, কীসের মব জাস্টিস? আপনার মিডিয়াতে জানিয়ে..কারা এটা করছে। সরকার কেন চুপচাপ? সরকার কেন কথা বলছে না?

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে নয়া পল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, যে সরকার- আমরা জানি ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশ্ববিখ্যাত নন্দিত নেতা। আমরা তার কাছে আশা করেছিলাম, এই সময়ে কঠোর হস্তে যারা বিভিন্ন অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, দেশকে আজকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে-তাদের ওপর কঠিন হবেন এবং তাদের শাস্তি দেবেন।

সরকারকে বলতে চাই, সমাজে যে অস্থিরতা-অস্থিতিশীলতা, সমাজে যে মব জাস্টিস, সমাজে যে নারী ধর্ষণ… এটা যদি বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছিল, সেই স্বপ্ন আমাদের পূরণ হবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন মহিলা দলের শোভাযাত্রা-সমাবেশ ঘিরে পুলিশের যে ভূমিকা ছিল, সেই প্রসঙ্গে সেলিমা বলেন, নারীরা আজকে মুক্ত…অন্তত পুলিশ দিয়ে আমরা এখন ঘেরা নই। যেখানে আমার বোনেরা মিছিল করতে পারতো না, কোনো কিছুই করতে পারতো না। সেই অবস্থা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে সেলিমা বলেন, তোমরা এখন দল করেছো, আমরা স্বাগত জানাই। আজকাল ছাত্রজনতা বলে, বৈষম্যবিরোধী বলে যে কেউ দুইজন-তিনজন করে বিভিন্ন জেলায় তারা বিভিন্ন অফিস-আদালতে গিয়ে বসে থাকছে, তারা ভাগ চাইছে।

এখন তোমাদের উচিত- তোমরা তাদের সাথে কথা বলে তাদেরকে শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে নিয়ে আসো।

নারীদের সচেতন হতে হবে: সেলিমা রহমান বলেন, আজকে নারীদের ভয়েস, ওম্যান ভয়েস একযোগে উচ্চারিত হতে হবে। নারীদের বলব, পরিবারের সদস্যদের বলব, বিশেষ করে গণমাধ্যমের ভাইয়েরা এখানে আছেন- তাদেরসহ সকলকে আজকে সজাগ হতে হবে। পরিবারের যে মূল্যবোধ ছিল- বড়কে সম্মান করা, শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা, মা-বাবাকে সম্মান করা- এগুলোর এখন কোনোটাই বিরাজ নেই। সম্মান-শ্রদ্ধার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

আমি বলতে চাই বোনদের, আপনাদের সচেতন হতে হবে। আপনার অধিকার কোনটা, আপনার কোনটা সমতা- সেটা আপনাকে বুঝতে হবে এবং আপনাদেরকে নিজ পরিবারে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমাদের পরিবর্তন আসবে সমাজে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর একটি শোভাযাত্রা লী কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁর মোড় হয়ে আবার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।