ক্রীড়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে ওয়ানডে অধিনায়ক রাখা হবে কি না, সেটি বলবে সময়। তবে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে পরিবর্তনটা নিশ্চিত। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ক্ষুদ্রতম সংস্করণে দায়িত্ব পাবেন কে, এবার সেটির আভাস দিয়ে রাখলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বছরের শুরুতেই বোর্ডপ্রধান বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছের কথা তাকে জানিয়েছেন শান্ত। বিসিবির পক্ষ থেকে তখন চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যস্ততা না থাকায় বিসিবিরও তাড়া ছিল না। তবে এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং ক্রিকেট লিগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক হতে পারেন পুরোনো কেউই। এটা (টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে) আমরা সিদ্ধান্ত নেব। খুব শিগগিরই জানা যাবে। এরই মধ্যে দুই-একজন টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন, যারা এখনও একদম দলের বাইরে নয়। এরকম থেকে কাউকে (অধিনায়কত্বে) আমরা চেষ্টা করব।
গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়ার ইচ্ছা বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন শান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত ওই সিরিজ ও পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
কুঁচকির চোটে বছরের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে পারেননি শান্ত। ওই সফর দিয়ে শেষ হয় তার অধিনায়কত্বের মেয়াদ। তবে জানুয়ারিতে বিপিএল চলাকালে বিসিবিপ্রধান জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত অধিনায়ক থাকবেন শান্ত। তখনই টি-টোয়েন্টি থেকে শান্তর সরে দাঁড়ানোর খবর দিয়েছিলেন ফারুক। নিকট ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি খেলা না থাকায় নতুন অধিনায়ক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত পরে নেবেন বলেও জানান তিনি।
সামনের দুই মাসেও টি-টোয়েন্টি নেই বাংলাদেশের। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষে মে মাসের শেষ দিকে পাকিস্তান সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা তাদের। বিসিবি সভাপতির যা ইঙ্গিত, এতে দায়িতব পেতে পারেন লিটন কুমার দাস কিংবা হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজও। শান্তর অনুপস্থিতিতে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন মিরাজ এবং টি-টোয়েন্টিতে লিটন।
ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করার পর লিটন বলেছিলেন, বোর্ড দায়িত্ব দিলে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে অধিনায়কত্ব করতে রাজি তিনি। গত দুই বছরে শান্ত ছাড়া শুধু লিটনই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।