ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী নরসুন্দর জাপানের হাকোইশি

  • আপডেট সময় : ০৪:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: শিতসুই হাকোইশির বয়স ১০৮ বছর। শুভ্র চুল, চেহারায় প্রসন্নতা। এই বয়সে এসেও চলেফিরে বেড়ান তিনি। কাজকর্ম করে দিব্যি আয়-রোজগারও করছেন। চুল-দাড়ি কেটে দিচ্ছেন পুরুষদের। এখনই অবসরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর। বিষয়টি অবাক করার মতোই। তাই তো হাকোইশিকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী নরসুন্দর হিসেবে নিজেদের তালিকায় নাম উঠিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

৯০ বছর ধরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটার কাজ করছেন হাকোইশি। গত বুধবার তাঁর হাতে নতুন রেকর্ডের সনদ তুলে দেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যাঁরা সেবা নিতে আসেন, তাঁদের কারণেই আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি। আমি আপ্লুত। আমার মন খুশিতে ভরে উঠেছে।’

হাকোইশির জন্ম জাপানের তোচিগি অঞ্চলের নাকাওয়াগা এলাকার এক কৃষক পরিবারে, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মানুষের চুল-দাড়ি কামানোকে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। তারপর চলে যান রাজধানী টোকিওতে। ২০ বছর বয়সে একজন নরসুন্দর হিসেবে লাইসেন্স পান হাকোইশি। তখন স্বামীর সঙ্গে মিলে একটি সেলুন খোলেন।

হাকোইশি ও তাঁর স্বামীর দুই সন্তান ছিল। পরে ১৯৩৭ সালে শুরু হওয়া জাপান-চীন যুদ্ধের সময় মারা যান তাঁর স্বামী। এরপর ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিওতে বোমাবর্ষণের সময় তাঁর সেলুন ধ্বংস হয়ে যায়। তবে এর আগেই সন্তানদের নিয়ে তোচিগি অঞ্চলের অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

নতুন করে আবার ব্যবসা দাঁড় করাতে হাকোইশির দীর্ঘ আট বছর লেগেছিল। তবে নতুন সেলুনটি তিনি খুলেছিলেন নিজের জন্মস্থান নাকাগাওয়া শহরে। নাম দিয়েছিলেন ‘রিহাৎসু হাকোইশি’। জাপানি ভাষায় রিহাৎসু অর্থ ‘নাপিত’। সেই সেলুনেই এখনো কাজ করে যাচ্ছেন হাকোইশি। তিনি বলেন, এই বছরে আমার বয়স ১০৯ বছর হবে। ১১০ বছর না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজ চালিয়ে যাব।

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী নরসুন্দর জাপানের হাকোইশি

আপডেট সময় : ০৪:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: শিতসুই হাকোইশির বয়স ১০৮ বছর। শুভ্র চুল, চেহারায় প্রসন্নতা। এই বয়সে এসেও চলেফিরে বেড়ান তিনি। কাজকর্ম করে দিব্যি আয়-রোজগারও করছেন। চুল-দাড়ি কেটে দিচ্ছেন পুরুষদের। এখনই অবসরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর। বিষয়টি অবাক করার মতোই। তাই তো হাকোইশিকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী নরসুন্দর হিসেবে নিজেদের তালিকায় নাম উঠিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

৯০ বছর ধরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটার কাজ করছেন হাকোইশি। গত বুধবার তাঁর হাতে নতুন রেকর্ডের সনদ তুলে দেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যাঁরা সেবা নিতে আসেন, তাঁদের কারণেই আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি। আমি আপ্লুত। আমার মন খুশিতে ভরে উঠেছে।’

হাকোইশির জন্ম জাপানের তোচিগি অঞ্চলের নাকাওয়াগা এলাকার এক কৃষক পরিবারে, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মানুষের চুল-দাড়ি কামানোকে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। তারপর চলে যান রাজধানী টোকিওতে। ২০ বছর বয়সে একজন নরসুন্দর হিসেবে লাইসেন্স পান হাকোইশি। তখন স্বামীর সঙ্গে মিলে একটি সেলুন খোলেন।

হাকোইশি ও তাঁর স্বামীর দুই সন্তান ছিল। পরে ১৯৩৭ সালে শুরু হওয়া জাপান-চীন যুদ্ধের সময় মারা যান তাঁর স্বামী। এরপর ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিওতে বোমাবর্ষণের সময় তাঁর সেলুন ধ্বংস হয়ে যায়। তবে এর আগেই সন্তানদের নিয়ে তোচিগি অঞ্চলের অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

নতুন করে আবার ব্যবসা দাঁড় করাতে হাকোইশির দীর্ঘ আট বছর লেগেছিল। তবে নতুন সেলুনটি তিনি খুলেছিলেন নিজের জন্মস্থান নাকাগাওয়া শহরে। নাম দিয়েছিলেন ‘রিহাৎসু হাকোইশি’। জাপানি ভাষায় রিহাৎসু অর্থ ‘নাপিত’। সেই সেলুনেই এখনো কাজ করে যাচ্ছেন হাকোইশি। তিনি বলেন, এই বছরে আমার বয়স ১০৯ বছর হবে। ১১০ বছর না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজ চালিয়ে যাব।