ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা: গ্রেফতার কর্মচারীর মুক্তি দাবিতে থানায় হট্টগোল

  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতার মোস্তফা আসিফ অর্ণব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার। গ্রেফতারের বিষয়টি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর নিশ্চিত করে বলেন, তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, এই ছেলেটি এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছিল।

পরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে এবং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে, ওই ছাত্রী বুধবার (৫ মার্চ) শাহবাগ থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন বলে এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন। ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের মুক্তির দাবিতে এদিন মধ্য রাতে পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের ‘ তৌহিদী জনতা’ দাবি করেন। গ্রেফতার ব্যক্তিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দেন। ভোর ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের একজন জানান, তারাবির নামাজের পর ওই ব্যক্তির গ্রেফতারের খবর তারা জানতে পারেন। এরপর মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় এসে উপস্থিত হন। তার ভাষ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে থানা হাজতে বন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের সঙ্গে কথা বলেন ও তাকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তারা।

কী ঘটেছিল ওই ছাত্রীর সঙ্গে
হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর ফেসবুক পোস্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। পোস্টের সঙ্গে হেনস্তাকারীর ছবিও জুড়ে দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তাতেই তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ফেসবুক পোস্টে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলছে, আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিকমতো ওড়না পরেছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। পরে আমি তাকে বললাম, এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না, আর আপনার তাকানোও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা: গ্রেফতার কর্মচারীর মুক্তি দাবিতে থানায় হট্টগোল

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতার মোস্তফা আসিফ অর্ণব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার। গ্রেফতারের বিষয়টি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর নিশ্চিত করে বলেন, তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, এই ছেলেটি এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছিল।

পরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে এবং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। তারপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে, ওই ছাত্রী বুধবার (৫ মার্চ) শাহবাগ থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন বলে এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন। ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের মুক্তির দাবিতে এদিন মধ্য রাতে পর শাহবাগ থানায় জড়ো হন একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের ‘ তৌহিদী জনতা’ দাবি করেন। গ্রেফতার ব্যক্তিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দেন। ভোর ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের একজন জানান, তারাবির নামাজের পর ওই ব্যক্তির গ্রেফতারের খবর তারা জানতে পারেন। এরপর মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় এসে উপস্থিত হন। তার ভাষ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে থানা হাজতে বন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অর্ণবের সঙ্গে কথা বলেন ও তাকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তারা।

কী ঘটেছিল ওই ছাত্রীর সঙ্গে
হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রীর ফেসবুক পোস্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। পোস্টের সঙ্গে হেনস্তাকারীর ছবিও জুড়ে দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তাতেই তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ফেসবুক পোস্টে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলছে, আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিকমতো ওড়না পরেছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। পরে আমি তাকে বললাম, এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না, আর আপনার তাকানোও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়।