খুলনা সংবাদদাতা : পাঁচ দফা দাবিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগরীর শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করেন তারা। এর আগে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার অর্ধ দিবস ক্লাস বর্জন ও আগামী ১২ মার্চ রিট নিষ্পত্তি না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
পাঁচ দফা দাবি হলো-
১। ‘এমবিবিএস ও বিডিএস ব্যতীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না’ বিএমডিসির এই আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ১২ মার্চ নিষ্পত্তি করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছে, এই ম্যাটস দের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২। উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট এর বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্ট এর বাইরে কোন ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩। স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন:
ক. দ্রুত ১০,০০০ জন ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
খ. প্রতিবছর ৪- ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
গ. ডাক্তারদের নিয়োগের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪। সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোমধ্যে এসএসসি পাশ করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।