ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইফতারির স্বাদে-গন্ধে মুগ্ধ ক্রেতা

  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে রমজানের হরেক রকম ঐতিহ্যবাহী ইফতারি মিলছে। যার মধ্যে আছে নেহারি, তেহারি, কাচ্চি, রোস্ট, কাবাব থেকে শুরু করে ছানার জিলাপি ও রসগোল্লার মতো মিষ্টান্নের সমাহার। এসব মুখরোচক সামগ্রী কেনার পাশাপাশি এখানে মনোরম পরিবেশে ইফতার করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে আইসিসিবির ৫ নম্বর পুষ্পাঞ্জলি হলে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই ইফতার বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বেলা সন্ধ্যার দিকে গড়াতেই ক্রেতা সমাগম আরও বেড়ে যায়।

এদিন রমজানের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কাবাব, তেহারি, বিরিয়ানি, চপ, জিলাপি, রসগোল্লাসহ ইত্যাদি বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্টলে। আইসিসিবির পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে প্রথমবারের মত অংশ নেওয়া স্টার্টআপ ‘ফুডি বক্স’র স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, নতুন হিসেবে এই ইফতার বাজারে ক্রেতাদের সাড়া ভালোই পাচ্ছি। আমরা মূলত কর্পোরেট খাবার নিয়ে কাজ করি, বিভিন্ন অফিসে লাঞ্চ বক্স দিয়ে থাকি। এবার প্রথমবারের মতো রোজা উপলক্ষে আইসিসিবির ইফতার বাজারে অংশ নিয়েছি। এখানে আমাদের প্রচারণাটা মূল লক্ষ্য। আমাদের সব থেকে বেশি চলা আইটেমের মধ্যে রয়েছে নেহারি। এছাড়া আমাদের হালিম ও তেহারিটাও ভালো চলছে।

আইসিসিবির পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেওয়া ‘রসুই ঘর’র বিক্রয় প্রতিনিধি মো. মোর্শেদ বলেন, আমরা মূলত হোমমেইড খাবার প্রস্তুত করে এখানে বিক্রি করে থাকি। গতবারের তুলনায় এবার প্রথম রমজানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি ছিল। সে তুলনায় এখন কিছুটা কম। তবে বন্ধের দিনগুলো, যেমন শুক্রবার ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি৷ প্রথম দিন তো ঘর থেকে রান্না করে আনা খাবার স্টলে ওঠাতেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এখন বিক্রি কিছুটা কম। এর মূল কারণ দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় অতটা ভালো না। কিছু হলেই রাস্তাঘাট বন্ধ করে আন্দোলন হয়। রাস্তায় যানজটও তীব্র। যে কারণে ক্রেতারাও কম আসছে। তিনি বলেন, আমাদের সব থেকে বেশি চলা আইটেমের মধ্যে রয়েছে ছানার জিলাপি। পাশাপাশি আস্ত কোয়েল পাখির রোস্ট এবং মুরগির রোস্টও আমাদের ভালো বিক্রি হয়।

এই ইফতার বাজারে চারবার অংশ নেওয়া জসীমউদ্দিন ক্যাটারিংয়ের স্বত্বাধিকারী ইব্রাহীম হোসেন বলেন, আমাদের সব থেকে জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে কাচ্চি। এটা ইফতারের আগেই শেষ হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে খাসির আস্ত লেগ রোস্ট, প্রতি পিস ১৭০০ টাকায় বিক্রি করে থাকি। কাল ভুনা প্রতিকেজি ১৪০০ টাকা বিক্রি করছি। হান্ডি কাবাব ১৭০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করছি। এই ইফতার বাজারের ২০টি স্টলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট। এখানকার ইফতারের তালিকায় বিরিয়ানি আইটেমের মধ্যে রয়েছে মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি (বাসমতি ও চিনিগুড়া), মোরগ পোলাও এবং বিফ তেহারি। রোস্ট আইটেমের মধ্যে রয়েছে চিকেন রোস্ট, হোল চিকেন মাসালাম, মাটন লেগ রোস্ট, হোল মাটন রোস্ট। কাবাব আইটেমের মধ্যে রয়েছে চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন হরিয়ালি কাবাব, চিকেন তান্দুরি কাবাব, বিফ শিক কাবাব, চিকেন জালি কাবাব, হোল চিকেন বারবিকিউ, চিকেন সাসলিক, ভেজিটেবল শাসলিক ও পমফ্রেট ফ্রাই।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ইফতারির স্বাদে-গন্ধে মুগ্ধ ক্রেতা

আপডেট সময় : ০৮:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে রমজানের হরেক রকম ঐতিহ্যবাহী ইফতারি মিলছে। যার মধ্যে আছে নেহারি, তেহারি, কাচ্চি, রোস্ট, কাবাব থেকে শুরু করে ছানার জিলাপি ও রসগোল্লার মতো মিষ্টান্নের সমাহার। এসব মুখরোচক সামগ্রী কেনার পাশাপাশি এখানে মনোরম পরিবেশে ইফতার করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে আইসিসিবির ৫ নম্বর পুষ্পাঞ্জলি হলে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই ইফতার বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বেলা সন্ধ্যার দিকে গড়াতেই ক্রেতা সমাগম আরও বেড়ে যায়।

এদিন রমজানের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কাবাব, তেহারি, বিরিয়ানি, চপ, জিলাপি, রসগোল্লাসহ ইত্যাদি বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্টলে। আইসিসিবির পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে প্রথমবারের মত অংশ নেওয়া স্টার্টআপ ‘ফুডি বক্স’র স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, নতুন হিসেবে এই ইফতার বাজারে ক্রেতাদের সাড়া ভালোই পাচ্ছি। আমরা মূলত কর্পোরেট খাবার নিয়ে কাজ করি, বিভিন্ন অফিসে লাঞ্চ বক্স দিয়ে থাকি। এবার প্রথমবারের মতো রোজা উপলক্ষে আইসিসিবির ইফতার বাজারে অংশ নিয়েছি। এখানে আমাদের প্রচারণাটা মূল লক্ষ্য। আমাদের সব থেকে বেশি চলা আইটেমের মধ্যে রয়েছে নেহারি। এছাড়া আমাদের হালিম ও তেহারিটাও ভালো চলছে।

আইসিসিবির পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেওয়া ‘রসুই ঘর’র বিক্রয় প্রতিনিধি মো. মোর্শেদ বলেন, আমরা মূলত হোমমেইড খাবার প্রস্তুত করে এখানে বিক্রি করে থাকি। গতবারের তুলনায় এবার প্রথম রমজানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি ছিল। সে তুলনায় এখন কিছুটা কম। তবে বন্ধের দিনগুলো, যেমন শুক্রবার ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি৷ প্রথম দিন তো ঘর থেকে রান্না করে আনা খাবার স্টলে ওঠাতেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এখন বিক্রি কিছুটা কম। এর মূল কারণ দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় অতটা ভালো না। কিছু হলেই রাস্তাঘাট বন্ধ করে আন্দোলন হয়। রাস্তায় যানজটও তীব্র। যে কারণে ক্রেতারাও কম আসছে। তিনি বলেন, আমাদের সব থেকে বেশি চলা আইটেমের মধ্যে রয়েছে ছানার জিলাপি। পাশাপাশি আস্ত কোয়েল পাখির রোস্ট এবং মুরগির রোস্টও আমাদের ভালো বিক্রি হয়।

এই ইফতার বাজারে চারবার অংশ নেওয়া জসীমউদ্দিন ক্যাটারিংয়ের স্বত্বাধিকারী ইব্রাহীম হোসেন বলেন, আমাদের সব থেকে জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে কাচ্চি। এটা ইফতারের আগেই শেষ হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে খাসির আস্ত লেগ রোস্ট, প্রতি পিস ১৭০০ টাকায় বিক্রি করে থাকি। কাল ভুনা প্রতিকেজি ১৪০০ টাকা বিক্রি করছি। হান্ডি কাবাব ১৭০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করছি। এই ইফতার বাজারের ২০টি স্টলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট। এখানকার ইফতারের তালিকায় বিরিয়ানি আইটেমের মধ্যে রয়েছে মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি (বাসমতি ও চিনিগুড়া), মোরগ পোলাও এবং বিফ তেহারি। রোস্ট আইটেমের মধ্যে রয়েছে চিকেন রোস্ট, হোল চিকেন মাসালাম, মাটন লেগ রোস্ট, হোল মাটন রোস্ট। কাবাব আইটেমের মধ্যে রয়েছে চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন হরিয়ালি কাবাব, চিকেন তান্দুরি কাবাব, বিফ শিক কাবাব, চিকেন জালি কাবাব, হোল চিকেন বারবিকিউ, চিকেন সাসলিক, ভেজিটেবল শাসলিক ও পমফ্রেট ফ্রাই।