ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নিরাপত্তা উদ্বিগ্নতায় ভ্রমণ করেন নারীরা

  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: ভ্রমণ কখনোই একজন মানুষের জন্য কেবল শখ হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়। ভ্রমণ নতুন কিছু শেখা, আবিষ্কার ও নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার একটি মাধ্যমও। বিশ্বজুড়ে নারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভ্রমণ করছেন একাকী, বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারসহ। কিন্তু নারীদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, তাদের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত?

নারী ভ্রমণকারীদের প্রায়ই যৌন হয়রানি, চুরি, প্রতারণা ও সাংস্কৃতিক বা সামাজিক বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হয়। তবে কি নারীদের ভ্রমণ করা উচিত নয়? অবশ্যই উচিত। প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তা হলো-
= প্রথমত, সুষ্ঠু পরিকল্পনা খুবই প্রয়োজন। এতে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। এর পাশাপাশি বিকল্প পরিকল্পনা রাখুন; যাতে করে সমস্যার সম্মুখীন হলে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

= ভ্রমণের আগে নির্দিষ্ট দেশ বা জায়গার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও স্থানীয় আইন সম্পর্কে জেনে নিন। পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা শেয়ার করুন। গুগল ম্যাপসে আপনার লোকেশন শেয়ার করুন। ট্রিপ অ্যাডভাইজর, ফোরাম, ব্লগ ও ভ্রমণ গ্রুপ থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত হন।

= গন্তব্যস্থানের কাছাকাছি হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশন নম্বর সংরক্ষণ ও দূতাবাসের অবস্থান চিহ্নিত করে নিন। যানবাহনে চলাচলের সময় চালকের নাম, গাড়ির নম্বর ও রুট পরিবার বা বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাথে শেয়ার করুন।
= রিসোর্ট বা হোটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে হোটেলের নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করুন এবং রিভিউ দেখুন। এর পাশাপাশি তাদের কাস্টমার সার্ভিসে কল দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জেনে নিন। ফ্লেক্সিবল চেক ইন ও চেক আউটের নিরাপত্তা এবং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
= রুমে প্রবেশ করার পর দরজার লক ও জানালার নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন। জরুরি প্রয়োজনে রিসিপশনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিফোন কাজ করছে কি না যাচাই করুন।

= নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে বলতে পারেন আমি এখানকার স্থানীয়, আমার ভাই বা পরিবারের লোকজন এখানে স্থানীয় ভাবে পরিচিত।
= পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সবসময় ভিপিএন চালু রাখুন যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সিকিউর থাকে।
= সেলফ ডিফেন্সের ক্ষেত্রে সাথে পিপার স্প্রে, পকেট নাইফ, ইলেকট্রিক ট্রিজার বা পারসোনাল অ্যালার্ম সঙ্গে রাখুন। কারো দ্বারা বিরক্ত হলে স্পষ্টভাবে না বলুন এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করুন।

= সব থেকে বড় ওয়েপন হিসেবে ব্যবহার করুন ‘নিজের আত্মবিশ্বাসকে’। অপরিচিত কারো ওপর নির্ভর না করে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল রাখুন, সতর্ক থাকুন, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং আপনার ভ্রমণকে আনন্দময় ও নিরাপদ করে তুলুন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিরাপত্তা উদ্বিগ্নতায় ভ্রমণ করেন নারীরা

আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: ভ্রমণ কখনোই একজন মানুষের জন্য কেবল শখ হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়। ভ্রমণ নতুন কিছু শেখা, আবিষ্কার ও নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার একটি মাধ্যমও। বিশ্বজুড়ে নারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভ্রমণ করছেন একাকী, বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারসহ। কিন্তু নারীদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, তাদের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত?

নারী ভ্রমণকারীদের প্রায়ই যৌন হয়রানি, চুরি, প্রতারণা ও সাংস্কৃতিক বা সামাজিক বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হয়। তবে কি নারীদের ভ্রমণ করা উচিত নয়? অবশ্যই উচিত। প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তা হলো-
= প্রথমত, সুষ্ঠু পরিকল্পনা খুবই প্রয়োজন। এতে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। এর পাশাপাশি বিকল্প পরিকল্পনা রাখুন; যাতে করে সমস্যার সম্মুখীন হলে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

= ভ্রমণের আগে নির্দিষ্ট দেশ বা জায়গার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও স্থানীয় আইন সম্পর্কে জেনে নিন। পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা শেয়ার করুন। গুগল ম্যাপসে আপনার লোকেশন শেয়ার করুন। ট্রিপ অ্যাডভাইজর, ফোরাম, ব্লগ ও ভ্রমণ গ্রুপ থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত হন।

= গন্তব্যস্থানের কাছাকাছি হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশন নম্বর সংরক্ষণ ও দূতাবাসের অবস্থান চিহ্নিত করে নিন। যানবাহনে চলাচলের সময় চালকের নাম, গাড়ির নম্বর ও রুট পরিবার বা বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাথে শেয়ার করুন।
= রিসোর্ট বা হোটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে হোটেলের নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করুন এবং রিভিউ দেখুন। এর পাশাপাশি তাদের কাস্টমার সার্ভিসে কল দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জেনে নিন। ফ্লেক্সিবল চেক ইন ও চেক আউটের নিরাপত্তা এবং সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
= রুমে প্রবেশ করার পর দরজার লক ও জানালার নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন। জরুরি প্রয়োজনে রিসিপশনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিফোন কাজ করছে কি না যাচাই করুন।

= নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে বলতে পারেন আমি এখানকার স্থানীয়, আমার ভাই বা পরিবারের লোকজন এখানে স্থানীয় ভাবে পরিচিত।
= পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সবসময় ভিপিএন চালু রাখুন যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সিকিউর থাকে।
= সেলফ ডিফেন্সের ক্ষেত্রে সাথে পিপার স্প্রে, পকেট নাইফ, ইলেকট্রিক ট্রিজার বা পারসোনাল অ্যালার্ম সঙ্গে রাখুন। কারো দ্বারা বিরক্ত হলে স্পষ্টভাবে না বলুন এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করুন।

= সব থেকে বড় ওয়েপন হিসেবে ব্যবহার করুন ‘নিজের আত্মবিশ্বাসকে’। অপরিচিত কারো ওপর নির্ভর না করে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল রাখুন, সতর্ক থাকুন, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং আপনার ভ্রমণকে আনন্দময় ও নিরাপদ করে তুলুন।