ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

সিরিয়ায় আসাদের জন্মস্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলা

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর নগরী তারতুসের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৩ মার্চ) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবামাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ওইখানে পূর্ববর্তী সিরিয়ান সরকারের অস্ত্র মজুত ছিল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ক্বারদাহ অঞ্চলে অবস্থিত ওই স্থাপনা সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্মস্থান, যা তারতুস বন্দরের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা-সানা জানিয়েছে,তারতুস শহরের আশেপাশে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলা হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি। সানা আরও জানিয়েছে,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বিশেষজ্ঞ দলগুলো টার্গেট নির্ধারণের কাজ করছে। গত ডিসেম্বরে বিরোধী দলগুলোর অভিযানে দীর্ঘদিনের নেতা বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের দাবি, এই হামলাগুলোর উদ্দেশ্য হলো এসব অস্ত্রশস্ত্র যেন শত্রুপক্ষের হাতে না পড়ে। গত মঙ্গলবার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে তারা দক্ষিণ সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনার ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল। এর মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে বাহিনী মোতায়েন করেছে, যা ১৯৭৪ সালের সিরিয়া-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল বাফার জোনের বাইরেও কিছু এলাকা, বিশেষ করে মাউন্ট হারমনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং একাধিকবার সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার জাতীয় সংলাপ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা নেতানিয়াহুর ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে তারা যেন ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন ও লঙ্ঘন’ বন্ধ করতে চাপ সৃষ্টি করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে ইসরায়েল সিরিয়ার সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের সুরক্ষা দেওয়ার অজুহাতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অনেক দ্রুজ সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সিরিয়ায় আসাদের জন্মস্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলা

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর নগরী তারতুসের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৩ মার্চ) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবামাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ওইখানে পূর্ববর্তী সিরিয়ান সরকারের অস্ত্র মজুত ছিল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ক্বারদাহ অঞ্চলে অবস্থিত ওই স্থাপনা সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্মস্থান, যা তারতুস বন্দরের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা-সানা জানিয়েছে,তারতুস শহরের আশেপাশে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলা হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি। সানা আরও জানিয়েছে,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বিশেষজ্ঞ দলগুলো টার্গেট নির্ধারণের কাজ করছে। গত ডিসেম্বরে বিরোধী দলগুলোর অভিযানে দীর্ঘদিনের নেতা বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের দাবি, এই হামলাগুলোর উদ্দেশ্য হলো এসব অস্ত্রশস্ত্র যেন শত্রুপক্ষের হাতে না পড়ে। গত মঙ্গলবার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে তারা দক্ষিণ সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনার ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল। এর মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে বাহিনী মোতায়েন করেছে, যা ১৯৭৪ সালের সিরিয়া-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল বাফার জোনের বাইরেও কিছু এলাকা, বিশেষ করে মাউন্ট হারমনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং একাধিকবার সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার জাতীয় সংলাপ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা নেতানিয়াহুর ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে তারা যেন ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন ও লঙ্ঘন’ বন্ধ করতে চাপ সৃষ্টি করে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে ইসরায়েল সিরিয়ার সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের সুরক্ষা দেওয়ার অজুহাতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অনেক দ্রুজ সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন।