বিদেশের খবর ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং আগামী শুক্রবার ক্রেমলিনে বৈঠক করবেন এবং তারপর কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করবেন ও বিবৃতি দেবেন। গতকাল মঙ্গলবার ক্রেমলিনের বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ৬৮ বছর বয়সী হ্লাইং সাধারণত খুব একটা বিদেশ সফরে যান না। যে কারণে তার এবারের রাশিয়া সফরের দিকে মিয়ানমারে যুদ্ধরত বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পাশাপাশি প্রতিবেশী ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও কড়া নজর রাখছে। গতকাল মঙ্গলবার পুতিনের অন্যতম শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই শোইগু হ্লাইংকে বরণ করে নেন। রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়া জানিয়েছে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকে পুতিন এবং রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠকের আগে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানকে আলিঙ্গন করতে দেখা গেছে। “আমরা অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করে আসছি। তারা পূর্ব এশিয়ায় আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার,” সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চি সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে নিজেরা ক্ষমতায় বসার পর থেকে গত ৪ বছর ধরেই সাড়ে ৫ কোটি মানুষের দেশটি বেশ টালমাটাল সময় পার করছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এ বছর দেশটিতে নির্বাচন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সিদের সাহায্যে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে জেনারেলরা এই প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে। চীনের পাশাপাশি রাশিয়াও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমর্থক। দেশটিতে মানবাধিকার লংঘনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওঠা এক প্রস্তাবে উভয় পরাশক্তিই ভিটো দিয়েছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপরই মিয়ানমারের সঙ্গে সোভিয়েত রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।