ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

জামিন নামঞ্জুর, সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান কারাগারে

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

আদালতে সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন-ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মানি লন্ডারিং মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত আসামি ইমরানের জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের উপ-পরিদর্শক মো. ছায়েদুর রহমান মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল ইমরানের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান। একই দিন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অর্গানাইজডের উপ-পরিদর্শক জোনাঈদ হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করে। টেকনাফ ও উখিয়া, কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় এবং ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে বিক্রয় করে। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করেছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ঢাকার কাস্টমস হাউজ কর্তৃক আটক করা এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রয়ের কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে হাতিয়ে নেয়। অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করে। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাক বিনিয়োগ করে রূপান্তর করেছে ইমরান হোসেন।

এ ছাড়া, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সর্বমোট প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জামিন নামঞ্জুর, সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান কারাগারে

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মানি লন্ডারিং মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত আসামি ইমরানের জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের উপ-পরিদর্শক মো. ছায়েদুর রহমান মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল ইমরানের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান। একই দিন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অর্গানাইজডের উপ-পরিদর্শক জোনাঈদ হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করে। টেকনাফ ও উখিয়া, কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় এবং ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে বিক্রয় করে। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করেছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ঢাকার কাস্টমস হাউজ কর্তৃক আটক করা এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রয়ের কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে হাতিয়ে নেয়। অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করে। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাক বিনিয়োগ করে রূপান্তর করেছে ইমরান হোসেন।

এ ছাড়া, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সর্বমোট প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।