আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব মেনে নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি প্রথম পর্যায়ের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর রোববার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। এ প্রস্তাব অনুযায়ী, মুসলিমদের রমজান ও ইহুদীদের পাসওভার বিবেচনায় রেখে প্রায় দেড়মাস যুদ্ধবিরতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, উইটকফের প্রস্তাব কার্যকরের প্রথম দিন গাজায় আটক জিম্মির অন্তত অর্ধেককে একবারে ছেড়ে দেওয়া হবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলে বাকিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
নেয়ানিয়াহুর কার্যালয় থেকে আরো জানানো হয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের জন্য আরো সময় প্রয়োজন বুঝতে পেরেই ওই প্রস্তাব করেছেন উইটকফ। তবে তিনি ইসরায়েলের কাছে কখন প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
উইটকফের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ ও দ্বিতীয় পর্যায় শুরু না হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালানোর সুযোগ ছিল ইসরায়েলের। তবে আলোচনার সম্ভাবনা বজায় রাখতে, মুসলিমদের রমজান মাস ও এক্সজুডাস স্মরণে ইহুদীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের কথা মাথায় রেখে অন্তত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ধরে রাখার প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সম্মত থাকলে এই প্রস্তাব অনুমোদনে আপত্তি নেই বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এদিকে, নেতানিয়াহু কার্যালয়ের বিবৃতির জবাবে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাহমুদ মারদাওয়ি বলেছেন, চুক্তির শর্ত মেনে চলায় তেমন আগ্রহ নেই ইসরায়েলের। তিনি প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে বলেছেন, এভাবে শর্ত লঙ্ঘন করতে থাকলে জিম্মিদের ফিরে পাবে না তাদের পরিবার। বরং, এর ফলে কেবল তাদের ভোগান্তি এবং জীবনের হুমকিই বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা চলমান আছে। এই উদ্দেশে আয়োজিত মিসরের রাজধানী কায়রোর সর্বশেষ বৈঠকটি কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের শর্ত ভাঙা নিয়ে ইসরায়েল ও হামাস একাধিকবার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। যদিও কখনই বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ কেউই উপস্থাপন করতে পারেনি।